রাখাইন রাজ্যের স্বাধীনতা অপরিহার্য : মুফতি ফয়জুল্লাহ

ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব ঠিক রাখতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের স্বাধীনতা অপরিহার্য।
মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারের একটি হোটেলে ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত মানববন্ধনে ফয়জুল্লাহ এ মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মাওলানা তৈয়ব, কক্সবাজার জেলা সভাপতি হাফেজ ছালামত উল্লাহ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান মুফতি ফয়জুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সেনাবাহিনীকে রোহিঙ্গাদের সার্বিক ত্রাণ কার্যক্রম ব্যবস্থাপনায় মোতায়েন করা হবে অথবা তিনি নির্দেশনা দিলেও সেনাবাহিনীকে রোহিঙ্গাদের সার্বিক ত্রাণ কার্যক্রমে, ব্যবস্থাপনার কাজে ব্যবহার করার নির্দেশনা দিলেও তিন দিন ধরে সেখানে ঘুরে এর তেমন কোনো প্রতিফলন আমরা দেখতে পাইনি।’
‘আমরা মনে করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা প্রদান করেছেন, সেনাবাহিনীকে ত্রাণ তৎপরতায় অথবা ত্রাণ কার্যক্রমে অথবা রোহিঙ্গা ভাইবোনদের রক্ষণাবেক্ষণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় তাদের ব্যবহার করার যে নির্দেশনা তিনি প্রদান করেছেন, সেই নির্দেশনা যদি যথাযথভাবে কার্যকর করা হয়, তাহলে এটা অনেকাংশে রোহিঙ্গা ভাইবোনদের কষ্ট লাঘব হবে।’
রোহিঙ্গাদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ইসলামী ঐক্যজোটের এই নেতা বলেন, ‘রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য, তাদের বাঁচার জন্য একটি স্বাধীন আরাকান (রাখাইন) রাজ্য অপরিহার্য। এর জন্য বাংলাদেশকেই ভূমিকা পালন করতে হবে। স্বাধীনতা শুধু রোহিঙ্গাদের জন্যে নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং দেশের নিরাপত্তার জন্যও এই আরাকান রাজ্যের স্বাধীনতা অপরিহার্য।’
‘বার্মা (মিয়ানমার) যেভাবে বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে, তারা যে দুঃসাহসের পরিচয় দিচ্ছে, এর জবাব দেওয়ার সময় হয়ে গেছে। আমরা মনে করি, এ জন্যে বাংলাদেশকে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এর জন্য প্রয়োজন হলে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’