সীমান্তে আর ব্যবহার হয় না মরণঘাতি অস্ত্র
মরণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়না বলে সীমান্তে এখন প্রাণহানী অনেক কমেছে বলে দাবি করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ'র মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা। এছাড়া এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিএসএফকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের ওপর জোর দিতে বলেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি-বিএসএফ এর ৪৬ তম সীমান্ত সম্মেলনে শেষে এসব অভিমত ব্যক্ত করেন দুই বাহিনীর প্রধান।
সীমান্ত এলাকায় বিসিএফ'র গুলিতে বহু বাংলাদেশি নিহত হওয়ায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নিয়ে এক ধরনের নেতিবাচক ধারনা রয়েছে বিভিন্ন মহলে। এমন ধারনা থেকে বের হয়ে আসার জন্য ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত সম্মেলন এলেই যে বিষয়টির উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়-তা হলো সীমান্তে প্রাণহানী শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা। এবারের ৪৬ তম সীমান্ত সম্মেলেনটিও এর ব্যতিক্রম নয়।
তবে এবারের সম্মেলনে বিএসএফ এর মহাপরিচালক কে কে শর্মা জানালেন মারণাস্ত্র নয় এমন অস্ত্র যাকে ইংরেজীতে বলা হয় নন লেথাল উইপন সেটি ব্যবহারের কারনে সীমান্তে প্রাণহানী এখন অনেক কমেছে।
কে কে শর্মা বলেন, ‘সীমান্তে প্রাণহানী শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনাই আমাদের প্রয়াস। আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে চলতি বছর বিএসএফের হাতে একজন বাংলাদেশিও মারা যায়নি। বরং একই সময়ে তিনজন ভারতীয় মারা গেছে। কেননা সংঘর্ষ যখন হয় তখন আমরা জানি না যে বিপরীত দিতে কে আছে।’
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দুই বাহিনী একমত হয়েছি যে কোনো প্রাণনাশের ঘটনা আমাদের দুই বাহিনীর কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়। সেইজন্য উনারা বেশি করে নন লেথ্যাল অস্ত্র ব্যবহার করছেন এবং এটা করতে গিয়ে উনারা দুস্কৃতিকারীদের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। শুধু বিএসএফ না আমাদের বিজিবিও কর্মরত অবস্থায় দুস্কৃতিকারীদের আক্রমনের সম্মুখীন হচ্ছেন। এবং বাধ্য হয়েই তখন উনারা এই নন লেথ্যাল অস্ত্র ব্যবহার করছেন।’
কেবল সীমান্তে প্রাণহানি নয়, ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে আসে বলে এই বিষয়েও দৃষ্টি আকর্ষন করা হয় বিএসএফ মহাপরিচালকের। তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে বিএসএফ-এর মাদকদ্রব্য জব্দ করে হার অনেক বেড়েছে। আমাদের নজরদারীর কারনে ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য চোরাচালান অনেক কমে এসেছে। এব্যাপারে আমরা অত্যন্ত তৎপর।’
বিচারাধীন বলে সীমান্তে ফেলানী হত্যা নিয়ে দুই দেশের মহাপরিচালকই কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
বিজিবি বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনটি শেষ হয় সীমান্ত ব্যববস্থাপনা আরো উন্নত করার প্রত্যয় নিয়ে। পরবর্তী সীমান্ত সম্মেলনটি দিল্লিতে এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে যৌথ প্রেস ব্রিফিং-এ জানানো হয়।