খোলা আকাশে নষ্ট হচ্ছে ১৪ কোটি টাকার সম্পদ
দীর্ঘদিন ধরে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন ইয়ার্ডে পড়ে আছে মালবাহী ট্রেনের ১৪৬টি বগি (ওয়াগন)। মেরামত ও সংরক্ষণের অভাবে মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা মূল্যের এসব বগি।
ঈশ্বরদী রেলওয়ের পণ্য পরিবহন পুল সূত্র জানা গেছে, পুরোনো এই বগিগুলোর প্রতিটির মূল্য কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা করে। ফলে ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ওয়াগন এখন নষ্টের পথে। ২০১০ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে এসব বগি এই ইয়ার্ডে আনা হয়। ১৯৫৭ থেকে ১৯৬২ সময়কালে এবং স্বাধীনতার পর ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত এসব বগি বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছিল।
রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইনে খাদ্যশস্য, সবজি, পাথরসহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহনের জন্য এসব বগি ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে ইয়ার্ডে রাখা বগির মধ্যে ১১টি এখনো মোটামুটি ভালো আছে। এগুলো মেরামত করে পণ্য পরিবহন করা সম্ভব। অন্য বগিগুলো বেশি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলার উপযোগী নয়। এরই মধ্যে বেশ কিছু বগির যান্ত্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে এবং মেরামতের জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টেশনের উত্তরে ঈশ্বরদী রেলওয়ে ক্যারিজের তত্ত্বাবধানে বগিগুলো সারিবদ্ধভাবে ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে। অধিকাংশ বগির রং উঠে গেছে। কোনো কোনোটিতে আবার মরিচা পড়ে লোহার পাটাতন ছিদ্র হয়ে গেছে। ইয়ার্ডের প্রধান গেটে ‘সংরক্ষিত এলাকা’ লেখা থাকলেও পূর্ব পাশের নিরাপত্তাপ্রাচীরটি ভেঙে পড়েছে।
আবদুল আলিম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, সংরক্ষিত এলাকা হলেও ইয়ার্ডের ভেতর দিয়ে প্রায় সময়ই লোকজন চলাচল করে। অনেক সময় বগির লোহা ও যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারিজ) শেখ হাসানুজ্জামান বলেন, এখনো বগিগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। কিছু বগি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।