সুনামগঞ্জে ছুরিকাঘাতে নিহত ১, আটক ৩

সুনামগঞ্জ শহরতলির কুরবাননগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ী গ্রামের বদিপুর এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ইয়াকুব মিয়া নামের একজন নিহত ও সুলতান আহমদ নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। গত রোববার এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। ইয়াকুব মিয়া বদিপুর এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন মাইজবাড়ী গ্রামের লোকজন। মিছিল শেষে শহরের আলফাত স্কয়ার এলাকায় মানববন্ধন হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাইজবাড়ী গ্রামের বদিপুর এলাকায় বহিরাগত কয়েকজন যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখে এর কারণ জানতে চান ইয়াকুব। তখন ইয়াকুবের সঙ্গে এলাকার সুলতান আহমদ ও আবদাল হোসেন নামের আরো দুই যুবক ছিলেন। একসময় দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এর একপর্যায়ে বহিরাগত যুবকদের একজন ইয়াকুব মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে। সুলতান আহমদ তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাঁকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এর পর তাঁরা চিৎকার শুরু করলে বহিরাগত যুবকরা পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা শফিক মিয়া নামের একজনকে আটক করেন।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইয়াকুব ও সুলতানকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াকুবকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শফিক মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হাসননগর এলাকার বাদল মিয়া ও জাকির হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, প্রেম-সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক বাদল মিয়া ইয়াকুব ও সুলতানকে ছুরিকাঘাতের বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ নিয়ে থানায় মামলা দায়ের প্রস্ততি চলছে।
এদিকে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের দুর্বাকান্দা গ্রামের জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের সুনামগঞ্জ সদর ও দিরাই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, দুর্বাকান্দা গ্রামের সামির উদ্দিনের ছেলে সিদ্দিক মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের বিলাত আলীর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে সোমবার সকালে জমিতে পানি সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল আমীন বলেন, ‘জমিতে পানি সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।’