ছাত্রকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন মাদ্রাসাশিক্ষক

জ্বর থাকার কারণে ক্লাসে আসতে পারেনি মো. তাসিন। এটাই তার অপরাধ। ক্লাসে আসার পর তাসিনকে মাটিতে ফেলে উপুর করে নিতম্ব, পেটে ও পায়ের তালুতে বেত্রাঘাত করেন শিক্ষক। শিশু তাসিন এখন হাসপাতালে!
গতকাল শনিবার কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পুঁইছড়া মোহাম্মদিয়া গাউছিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা এ হেফজখানায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ রফিক ঘটনার পর থেকে পলাতক।
এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে। অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ রফিককে আহত ওই শিশুর চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও মোহাম্মদ আবুল কালাম। এ ছাড়া অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওই মাদ্রাসাকে চিঠি দিয়েছেন ইউএনও।
১৩ নভেম্বর বিকেলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, ওই শিক্ষক ছেলেটিকে অপর চারজন ছাত্র দিয়ে হাত-পা চেপে ধরে মাটিতে উপুড় করে ফেলে তার নিতম্বে ও পিটে এবং পায়ের তালুতে মারধর করে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেন। ছেলেটির চিৎকারে ঘটনাটি আশপাশে জানাজানি হলে ওই শিক্ষক মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যান। পরে লোকজন ছেলেটিকে উদ্ধার করে প্রশাসনকে জানিয়ে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
স্থানীয় এক সাংবাদিকের মাধ্যমে বিষয়টি ইউএনও মো. আবুল কালাম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম বিভীষণ কান্তি দাশকে জানানো হয়।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা দলিলুর রহমান জানান, মাদ্রাসাশিক্ষক রফিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চিঠি দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিতে আহত ছাত্রটির পরিবারকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে তাৎক্ষণিক আহত ছাত্রকে চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ এবং ব্যবস্থা নিতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।