আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আজ বুধবার (২৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাত জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতরা হলেন মালেক মোল্লা, শরিফুল মোল্লা, বসির মোল্লা, আমিরুল মোল্লা, গফুর মোল্লা, সোহান মোল্লা, শরকত মোল্লা, নজির মোল্লা, সেলিম মোল্লা ও শাহজাহান মোল্লা। এদের মধ্যে ছয় জনকে আশংকাজনক অবস্থায় যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জামাল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে মালেক মোল্লা ও শরিফুল মোল্লার মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। কয়েকদিন আগে শরিফুল মোল্লার অনুসারী বাবলু হোসেন ঘেনাকে মারধর করে মালেক মোল্লার অনুসারীরা। ঝিনাইদহ-৪ আসনের (কালীগঞ্জ-ঝিনাইদহ সদরের আংশিক) সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার আজ বিকেলে জামাল ইউনিয়ন পরিষদে উভয় পক্ষকে মীমাংসার জন্য ডাকেন। তিনি উপস্থিত হওয়ার আগেই দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের হোসেন দরজা আটকিয়ে নিজে রক্ষা পান। সংঘর্ষে সময় ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে ভাঙচুর করা হয়।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান জানান, জামাল ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের বিরোধ মীমাংসা করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আগেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষের লোকজন। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।