বক্তব্য দিতে আইন কর্মকর্তাদের নিতে হবে অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে হলে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে পরামর্শ ও অনুমতি নিতে হবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিপক্ষে কোনো ‘বিবৃতিতে স্বাক্ষর করবেন না’ বলে মিডিয়ায় দেওয়া বক্তব্যের পর এমন নির্দেশনা এলো।
অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘এই অফিসের সকল আইন কর্মকর্তাগণকে জানানো যাচ্ছে যে, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অফিস সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে কোনো প্রকার বক্তব্য প্রদানের পূর্বে অ্যাটর্নি জেনারেল মহোদয়ের সঙ্গে পরামর্শ ও পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে বক্তব্য প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে সবিনয় অনুরোধ করা হলো।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোববার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে পাল্টা বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানানো হয়। যেখানে সোমবার বিকেল ৪টার মধ্যে বিবৃতি স্বাক্ষর করার কথা বলা হয়। তবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বাক্ষর করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি স্বাক্ষর করার সঙ্গে একমত নই। আমি মনে করি, ড. ইউনুসের বিষয়ে যে বিবৃতি ও পাল্টা বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে, সেটির প্রয়োজন নেই।’
এদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার কক্ষের সামনের নেমপ্লেট গত মঙ্গলবার খুলে ফেলা হয়েছে। আরেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম ফজলুল হক ওই নেমপ্লেট খুলে ফেলেছেন দাবি করে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া রাষ্ট্রের একজন আইন কর্মকর্তা হয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে তার নেমপ্লেট আমি খুলে ফেলেছি। তার নেমপ্লেট এখানে থাকতে পারে না বলেই আমি মনে করি।’
সম্প্রতি বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনসহ বিশ্বের ১৬০ জন সুপরিচিত ব্যক্তি ও নেতা অধ্যাপক ইউনুসের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। একশর বেশি নোবেল বিজয়ীর দেওয়া ওই চিঠিতে ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার বিচারকাজ স্থগিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহবান জানানো হয়। সেই সঙ্গে ওই চিঠিতে বিগত দুটি নির্বাচনের বৈধতার সংকট ছিল জানিয়ে সামনের নির্বাচনের দিকে নজর রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এই চিঠির প্রতিবাদ জানিয়ে গত কয়েকদিনে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবীসহ অনেকে।