গাজীপুরে পোশাক শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, এক শ্রমিকের নিহত
গাজীপুরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ৭ম দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছে পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে এক শ্রমিকের নিহত হয়েছেন।
এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উত্তেজিত শ্রমিকরা মহাসড়কে চলাচলকারী একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়।
শ্রমিকদের দাবি, পুলিশের গুলিতে ওই শ্রমিক মারা গেছেন। তবে পুলিশ বলছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেলের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, বেতন বাড়ানোর দাবিতে টানা ৭ম দিনের মতো আজ সোমবারও (৩০ অক্টোবর) আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা। এদিন সকাল ৯টা থেকে ভোগড়া বাইপাসের আশপাশের এলাকার বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে। এ সময় তারা কয়েকটি কারখানায় ভাঙচুর চালিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মিছিল শুরু করলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় উত্তেজিত একদল শ্রমিক একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়। শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দুপুর দেড়টার দিকে রাসেল হাওলাদার নামে এক পোশাক শ্রমিক আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় তায়রুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রাসেল হাওলাদার ঝালকাঠি জেলার বিনাইকাঠি গ্রামের হান্নান হাওলাদারের ছেলে। তিনি হাড়িকেন এলাকার নূর আলমের বাসায় ভাড়ায় বসবাস করে ডিজাইন এক্সপ্রেস কারখানার ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিবি) ইব্রাহীম খান বলেন, রাসেল হাওলাদার নামে ওই শ্রমিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।