গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ছড়ানো আগুনে প্রাণ গেল আরও দুজনের
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনের ঘটনায় দগ্ধ আরিফুল ইসলাম ও মইদুল নামের আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালে পাঁচজনে। আজ রোববার (১৭ মার্চ) ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আজ রোববার বেলা ১১টায় দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আরিফুলের শরীরের ৭০ শতাংশ আর মইদুলের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল তাদের। সেখানেই মারা যান তারা।
জানা গেছে, আরিফুলের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামে। বাবার নাম আ. রাজ্জাক বিশ্বাস। পরিবার নিয়ে কালিয়াকৈরে থাকতেন তিনি। আর মইদুলের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেড়াখোলা গ্রামে। বাবার নাম সাবেত খা। কালিয়াকৈরে একটি গোডাউনে কাজ করতেন তিনি।
এর আগে গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে সোলাইমান মোল্লা নামে একজনের মৃত্যু হয়। পরদিন শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তায়েবা নামে এক শিশু ও শনিবার ভোরে মনসুর নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। সবাই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুন থেকে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, তেলিরচালা টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী শ্রমিক কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। তার বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের দোকান থেকে তিনি নতুন গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিয়ে আসেন। বাড়িতে সেটি লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়। তখন তিনি গ্যাস সিলিন্ডারটি ছুড়ে মারেন বাইরে। এ সময় আশপাশে থাকা শিশু, নারী ও পথচারীর শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩৪ জন দগ্ধ হন।