সড়ক দুর্ঘটনায় আহত পাবিপ্রবির শিক্ষক ও তার মেয়ে, স্ত্রী-ছেলে নিহত
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সহকারী অধ্যাপক ও তার পরিবারের সদস্যরা। এতে তার স্ত্রী ও সাত মাসের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সহকারী অধ্যাপক ও তার ছয় বছর বয়সী মেয়ে আহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী থেকে গ্রামের বাড়ীতে নওগাঁ যাওয়ার পথে মান্দা উপজেলার বিজয়পুর নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই সহকারী অধ্যাপকের নাম মো. ফিরোজ আলী (৩৫)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। ঘটনাস্থলে মারা যায় তার ছেলে ফারাবি হোসেন এবং গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তার স্ত্রী রেশমা খাতুন (৩২)। ফিরোজ আলীর বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার চকগোছাই গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী থেকে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় যাওয়ার জন্য ফিরোজ আলী সিএনজি চালিত অটোরিকশায় রওনা করেন। দুপুর ১২টার দিকে অটোরিকশাটি নওগাঁর মান্দা এলাকায় পৌঁছালে একটি পিকআপ ভ্যান ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা উল্টে যায় এবং ঘটনাস্থলে সাত মাসের শিশু ফারাবি হোসেন মারা যায়। এ ছাড়া ছয় বছর বয়সী মেয়ের হাত ও পা এবং ফিরোজ আলীর হাত ভাঙে যায়। এ ঘটনায় ফিরোজ আলীর স্ত্রী রেশমা আক্তার গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেশমা আক্তার মারা যান।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, ‘নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের মান্দা উপজেলার বিজয়পুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে শিশুটির মা রেশমা আক্তার। গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুটির বাবা ফিরোজ আলী। তার মেয়ে এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে শিশু ফারাবি ও তার মা রেশমা আক্তারের মরদেহ স্বজনদেরর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’