তাপপ্রবাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, ভুগছে খেটে খাওয়া মানুষ
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা। পরপর তিন দিন জেলাটি রয়েছে দেশের শীর্ষ তাপমাত্রার তালিকায়। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সেখানে ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও এই তাপমাত্রা গতকালের তুলনায় কম। গতকাল ছিল ৪০ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন মঙ্গলবার ছিল ৪০ দশমিক দুই ডিগ্রি। এই তাপমাত্রায় জেলার খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থা অনেকটাই বেহাল। প্রচণ্ড গরমে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন বয়সীরা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে ও বেশি বেশি পানি পান করতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কৃষিবিদরা বলছেন, এই তাপপ্রবাহ উৎপাদনে প্রভাব ফেলবে।
চুয়াডাঙ্গায় পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটির পর আগামী ২১ এপ্রিল থেকে স্কুল-কলেজ চালু হবে। তবে, বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও প্রাইভেট কোচিং চালু রয়েছে। ফলে, শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, বর্তমানে শিক্ষপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিল স্কুল খুলবে। গরমের বিষয়ে ঢাকা থেকে নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আতাউর রহমান মুন্সী জানান, সাধারণ মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া চলবে না। বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
এদিকে, প্রচণ্ড গরম কৃষির ওপরও প্রভাব ফেলছে। চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ডিমের উৎপাদন কমে যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে বোরো ধান, আম ও লিচুর উৎপাদনে ব্যাহত হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, ‘জেলার সিভিল সার্জনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তাপপ্রবাহ চলাকালে করণীয় বিষয়ে প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সিলিং ফ্যানগুলো সচল থাকে, সেবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হবে।