ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়েছিলেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মওলানা মামুনুল হক। আজ শনিবার (১৮ মে) বিকেলে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের কক্ষে প্রবেশ করেন তিনি। এরপর সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হন তিনি।

বের হওয়ার সময় ডিবি কার্যালয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয় মামুনুল হকের কাছে। সংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি মোবাইল নিতে আসছিলাম।’একথা বলেই তিনি গাড়িতে উঠে যান।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারের সময় মামুনুল হকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করে ডিবিতে রাখা হয়েছিল। এটি নিতেই তিনি ডিবি কার্যালয়ে যান। বিভিন্ন মামলায় তিন বছর কারাবাসে থেকে গত ৩ মে সকাল ১০টার দিকে মামুনুল হক কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁও থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া ওই নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারেই ছিলেন মওলানা মামুনুল হক।