পুলিশের ওপর হামলা মামলায় গ্রেপ্তার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা নির্বাচনের দিন অবৈধ প্রবেশে বাধা দেওয়া পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মারপিট ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বি এম মাহমুদ হককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার (১ জুন) ওই যুবলীগ নেতাকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলার পাটগাতী বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আমিনুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ৮ মে প্রথম ধাপে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের সময় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গাজী মাসুদুল হকের সমর্থকরা দুপুরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকে দখলের চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে হামলাকারীরা পাটগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান পান্নার বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে। ৯ মে টুঙ্গিপাড়া থানার এসআই মো. বদিয়ার রহমান বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত আরও ২০০ জনের বিরুদ্ধে এবং আওয়ামী লীগনেতা মিজানুর রহমান পান্না বাদী হয়ে ১২ মে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে টুঙ্গিপাড়া থানায় পৃথক মামলা করেন।
পরে পুলিশের মামলাটির তদন্ত ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বি এম মাহমুদ হকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গতকাল শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহম্মেদ আলী বিশ্বাস জানান, আজ শনিবার সকালে পুলিশি পাহারায় গ্রেপ্তার যুবলীগনেতা মাহমুদকে গোপালগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে দুপুরে টুঙ্গিপাড়া আমলি আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অনুশ্রী রায় আগামীকাল রোববার শুনানির দিন ধার্য করেন। পরে মাহমুদকে জেলহাজতে পাঠান।
এ ব্যাপারে যু্বলীগনেতা বি এম মাহমুদ হকের ভাই এমদাদুল হক বিশ্বাস বলেন, ‘আমার ভাই নিরপরাধ। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’