ঢামেক থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ উঠেছে।এ অভিযোগ করেন নবজাতকের বাবা শরিফুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে এই বাচ্চা চুরির ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে।
নবজাতক চুরির পর থেকে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং শাহবাগ থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন শরিফুল ইসলাম।
এদিকে, ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া নবজাতক চুরির তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি শাহবাগ থানা পুলিশকে জানানোর পর তারা হাসপাতালে আসে। পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তদন্ত করছে।
শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার দেশের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। বর্তমানে সাভার এলাকায় ভাড়া থাকি। আমি পেশায় একজন দিনমজুর। গতকাল রাতে সাভারের কালামপুর থেকে ঢাকা মেডিকেলের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয় আমার স্ত্রী সুখী। পরে আজ সকাল দশটার দিকে আমার স্ত্রী সুখী আক্তারের জমজ দুটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। দুই নবজাতকের মধ্যে আমার বড় মেয়ের জ্বর আসে এবং পাশে থাকা একটি মহিলা বলেন আমার কাছে বাচ্চাটি দিয়ে আপনি বড় বাচ্চার জন্য ওষুধ নিয়ে আসেন।
শরিফুল ইসলাম বলেন, পরে আমি এক পাতা নাপা নিয়ে আবার ওয়ার্ডে ফিরে আসি। আমার মাকে জিজ্ঞেস করি বাচ্চা কোথায়। পরে দেখি যে নারীর কাছে আমি বাচ্চা দিয়েছিলাম সেই নারী আর নাই। পরে বিষয়টি আমরা আনসার সদস্যদের এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাই।
শরিফুল ইসলাম আরও বলেন, আমি গরিব মানুষ, আমি লেবারের কাজ করি। আমার বাচ্চাকে আমি ফিরে পেতে চাই, এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
হাসপাতালের আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মিজান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ওই নবজাতকের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি এবং এরপর আমরা পুলিশ ফাঁড়িতে যোগাযোগ করি এবং পরবর্তীতে পুলিশ আসে। তারা সিসি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই নবজাতককে উদ্ধারে তদন্ত শুরু করেছে।