বন্যায় ২৭৯৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে
বন্যায় দেশের ১১টি জেলায় দুই হাজার ৭৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি এবং বই-পুস্তক ক্ষতিগ্রসস্থ হয়েছে।
আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বন্যাকবলিত ফেনী জেলার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জেলা প্রশাসক মুছাম্মাৎ শাহিনা আক্তার, পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম, ফেনী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ফেনী জেলার সদর উপজেলাস্থ কাজিরবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলগাজী উপজেলার বন্দুয়া দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বই, খাতা, কলম ও ব্যাগ বিতরণ করেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। নতুন বই, খাতা, কলম ও ব্যাগ দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করতে হবে। অনেকদিন পড়াশোনায় গ্যাপ হয়েছে। এ গ্যাপ পুষিয়ে নিতে হবে।
উপদেষ্টা পরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামস্থ চান্দকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বই, খাতা, কলম ও ব্যাগ বিতরণ করেন। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যায় দেশের, দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় ১১টি জেলায় প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এসব বিদ্যালয়ের সংস্কার কার্যক্রমের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন হবে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। এগুলো ছাড়াও জেলাভিত্তিক আউট অফ স্কুল চিলড্রেন শিক্ষা কার্যক্রমের শিখন কেন্দ্রসমূহের নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী ও লক্ষীপুর জেলার ১৮টি উপজেলার ৯৪৬টি শিক্ষণ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং মৌলভীবাজারের এক হাজার ৩২১টি বিদ্যালয়ের এক লাখ ১৫ হাকার ৮২৩টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এগুলোর অধিকাংশ পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় করা হয়েছে। বাকিগুলোর সমন্বয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের পোশাক ও ব্যাগের সমন্বয়ের কাজ চলমান রয়েছে।