পূর্বাচলে আ.লীগের নেতাকর্মীর নামে বরাদ্দ প্লট বাতিলের দাবি, পর্যালোচনা করছে রাজউক কমিটি
পূর্বাচল প্রকল্প এলাকায় সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পরিবারসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে বরাদ্দ হওয়া প্লট বাতিলসহ ১৯ দফা দাবি জানিয়েছেন পূর্বাচলের অধিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা। যদিও পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ নিয়ে কমিটি গঠন হয়েছে এবং কমিটির সদস্যরা এসব বিষয় পর্যালচনা করে দেখছেন বলে জানিয়েছেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকার। আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পূর্বাচল আদিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত সমন্বয়ক কমিটির ব্যানারে ক্ষতিগ্রস্তরা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ভবনের সামনে মানববন্ধন ও পরে রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দিলে তিনি এসব তথ্য জানান।
পূর্বাচল অধিবাসি (ভূমি) ক্ষতিগ্রস্ত পুনর্বাসন ও বাস্তবায়ন সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মো. দুলাল হোসেন তাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—মূল অধিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যারা যারা আবেদন করতে পারে নাই তাদের নতুন করে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া; মূল অধিবাসীদের নামে তিন কাঠা, পাঁচ কাঠা, সাত দশমিক পাঁচ কাঠা ও ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ দেওয়া; গত ১৭ বছরে ভবন, স্টেডিয়াম এবং রাস্তা উন্নয়নের নামে যেসব দুর্নীতি করা হয়েছে তদন্ত করে তার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া; দ্রুত বসবাস উপযোগী করে তোলা। পূর্বাচল নতুন শহর এলাকায় শিক্ষিত মেধাবি বেকার ছেলেমেয়েদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরির ব্যবস্থা করা; পূর্বাচল স্টেডিয়ামের নামকরণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদদের নামে করা; অধিবাসীদের ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য স্থায়ীভাবে ক্লাবের জমি বরাদ্দ; প্রতিটি সেক্টরে কবরস্থানের ব্যবস্থা করারও দাবি জানায়।
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দুলাল হোসেন বলেন, আমরা যারা প্লট পাবার জন্য টাকা জমা দিয়েছিলাম, তাদের মধ্যে হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে পাঁচ কাঠার প্লটের জন্য ৩০ হাজার টাকা করে জমা নেওয়া হয়েছিল। দুই কিস্তি জমা দিয়েছি। কিন্তু গাজী (গোলাম দস্তগীর গাজী) আমাদের পাঁচ কাঠার প্লট তিন কাঠা করেছে। আমাদের পাঁচ কাঠার প্লটগুলো পূর্বমূল্যমানে চাই। তিনি আরও বলেন, গত সরকার এক হাজার ৪০০ প্লট দিয়েছে। সেই প্লটগুলোর মধ্যেও ভুয়া প্লট দিয়েছে। আওয়ামী লীগ দালাল চক্র একেক জনকে ১০০ থেকে ২০০ করে প্লট দিয়েছে। তাদের এই প্লট বাতিল করতে হবে।
রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, প্রতি শনিবার আমি পূর্বাচলে অফিস করব। আমাদের কর্মকর্তারা থাকবে। আপনারা ধাপে ধাপে অভিযোগ নিয়ে আসবেন। আমরাও জানি, পূর্বাচলে অনেক সমস্যা আছে। আমরা সবার দাবির কথা শুনব এবং আগে যেগুলো দেওয়া হয়েছিল সেগুলো নিয়মের বাইরে গেলে ব্যবস্থা নেব।