লক্ষ্মীপুরে খালের ভাঙন রোধের দাবিতে মানববন্ধন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/09/29/lakshmipur_manobbondhon_pic.jpg)
লক্ষ্মীপুরে ওয়াপদা খালের তীব্র স্রোতে ব্যাপক ভাঙন চলছে। ঝুঁকিতে রয়েছে বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। এ ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা নিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
আজ রোববার (২৯ সেপ্টম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী বাজারে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে স্থানীয় চাঁদখালী আব্দুর রব উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী চাঁদখালী বাজার, আব্দুর রব উচ্চ বিদ্যালয়, বাজার জামে মসজিদ, জকসিন-ওয়াপদা সড়ক, বসতঘর, ফসলি জমিসহ সৈয়দপুর, রামানন্দী ও চাঁদখালী গ্রামের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন মহব্বত, লাহারকান্দি ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা ইয়াকুব শরীফ, প্রফেসর আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর, লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওমর ফরুক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক পারভেজ মাহমুদ শামীম, জামেয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক আবু ইসহাক প্রমুখ।
মাওলানা ইয়াকুব শরীফ বলেন, চাঁদখালী ও রামানন্দী গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা খালের ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট ভেঙে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এ অঞ্চলের বহু মানুষের বাড়িঘর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় দ্রুত ভাঙনরোধে কার্যকরি ভূমিকা না নিলে দুটি গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা খালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন মহব্বত বলেন, ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের মাঝখান দিয়ে ওয়াপদা খাল প্রবাহিত হয়েছে। খালের তীব্র স্রোতে দুই তীরের মানুষ এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমাদের ঐতিহ্যবাহী চাঁদখালী বাজার, একমাত্র বিদ্যাপীঠ এ রব উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। রামানন্দী ও চাঁদখালী গ্রামের একটি অংশ ভেঙে প্রায় ৪০০ পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ভাঙনরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, রহমতখালী খাল ও ওয়াপদা খালের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙনরোধে বিভিন্ন এলাকায় কাজও করা হয়েছে। চাঁদখালী এলাকাও আমরা পরিদর্শন করেছি। ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।