জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতরা জাতীয় বীর : জামায়াত আমির
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/10/17/saabhaar.jpg)
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াত ইসলামী চায় মানবিক বাংলাদেশ। যেখানেই মানবতার বিপর্যয় ঘটেছে, সেখানেই মানবতার পাশে দাঁড়িয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদ ও আহতরা আমাদের জাতীয় বীর।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে সাভারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসনকেন্দ্র সিআরপিতে গুলিবিদ্ধ চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখতে গিয়ে জামায়াতের আমির এ কথা বলেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের নির্বিচার গুলিতে আহতদের ৫৭ জন বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসনকেন্দ্র সিআরপিতে। এদের মধ্যে স্পাইনাল কর্ডে গুলিবিদ্ধ ৬ জন রোগীর অবস্থা গুরুতর। জামায়াতে ইসলামীর আমির চিকিৎসাধীন রোগীদের শয্যা পাশে যান এবং তাদের চিকিৎসাসহ পরিবারের খোঁজখবর নেন।
পরে সিআরপির রেডওয়ে হলে জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, আমরা চাই না দেশের জন্য যারা এত বড় ত্যাগ স্বীকার করেছে, তারা কারো দয়ার পাত্র হয়ে থাকুক।
সর্বাত্মক সহযোগিতা নিয়ে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের পাশে রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। আহতদের চিকিৎসা পরবর্তী পুনর্বাসনেও তাদের পাশে থাকবে দলটি।
চিকিৎসাধীন রোগীদের পাশে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, আমরা চাই এখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে এই মানুষগুলো যাতে কাজ করে খেতে পারে, সম্মানের সাথে বেঁচে থাকতে পারে। তাদের পুনর্বাসনেও পাশে থাকবে জামায়াতে ইসলামী।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা ও ঢাকা জেলা উত্তরের আমির মাওলানা আফজাল হোসেন, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রউফ, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা শাহাদাত হোসেন, রাজনৈতিক সেক্রেটারি হাসান মাহবুব মাস্টার, আইন ও মানবাধিকার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম, জেলা প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান, প্রকাশনা সেক্রেটারি হারুনুর রশিদ, তারবিয়াত সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. তৌহিদ হোসেন, সাংস্কৃতিক সেক্রেটারি লুতফর রহমান, সাভার পৌর আমির আজিজুর রহমান, ধামরাই উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুল হালিম, সাভার থানা আমির আব্দুল কাদেরসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।