মোহম্মদপুরে ছিনতাইয়ের শিকার সাংবাদিক
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ছিনতাই ও মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক ইত্তেফাকের ফটো জার্নালিস্ট নাঈমুর রহমান। গতকাল বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তার কাছে থাকা ক্যামেরা, ফোন ও টাকা নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা।
বুধবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী নাঈমুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অফিসের কাজ শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মোহাম্মদপুরের বসিলায় খালাতো ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে তিন রাস্তায় যাওয়ার পথে হঠাৎ পাঁচ থেকে সাতজন তার পথ আটকায়। তাকে ধরে একটি গলির ভেতর নিয়ে যায়। তারপর সেখানে তাকে মারধর করে তার কাছে থাকা নিকন ডি-৮৫০ মডেলের একটি ক্যামেরা, স্যামসাং এ ১৩ মডেলের একটি মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে যায়। মানিব্যাগে টাকা ছাড়াও ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল।
এই ঘটনার পর ভুক্তভোগী নাঈমুর রহমান মোহাম্মদপুর থানায় যান। তার (নাঈমুর রহমান) মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। কিন্তু, এই ঘটনায় তারা জড়িত না থাকায় পরে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়।
নাঈমুর রহমান বলেন, আটকদের মধ্যে একজন ছিনতাইকারীদের সম্ভাব্য পরিচিয় জানিয়েছে।
মোহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান জানান, ঘটনাস্থলের একটি আবাসিক ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহরে চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে ভবনের কেয়ারটেকার না থাকায় সেটি তাৎক্ষণিক সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। ভবনের বাড়িওয়ালা বৃহস্পতিবার সকালে তাদের যেতে বলেছে বলে। তবে, এই ঘটনায় এখনও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বা লিখিত অভিযোগ দেননি নাঈমুর রহমান।
ওসি বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিনতাইকারীদের ধরতে ছুটাছুটি করেছি। আমরা বিষয়টি দেখছি। ভুক্তভোগী সাংবাদিক আগামীকাল লিখিত অভিযোগ দেবেন। এ ছাড়া আমরা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। আশা করি আগামীকাল সকালে আমরা ভিডিও ফুটেজটি পাব।
দুজনকে আটক করে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ছোট ছেলেসহ দুজনকে আমরা ধরেছিলাম। কিন্তু ভুক্তভোগী সাংবাদিক শনাক্ত করছে, তারা ছিল না। তাই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ পেলে আশা করি ছিনতাইকারীদের পেয়ে যাব।