মসজিদের টাকার হিসেব নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
হবিগঞ্জে মসজিদের তহবিলের টাকার হিসেব নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত পাঁচজনকে টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের টঙ্গীরঘাট গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, টঙ্গিরঘাট গ্রামের জামে মসজিদের ১৪ লাখ টাকা নিয়ে একই গ্রামের মুরুব্বি মো. তাইবুল্লাহ ও আলহাজ মিয়ার মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। মসজিদে বর্তমানে কোন কমিটি না থাকায় ওই টাকা আলহাজ মিয়া মসজিদের অন্য কোন কাজে লাগাতে চায়। আর তাইবুল্লাহসহ গ্রামবাসী উল্লেখিত পরিমাণ টাকা ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করে রাখতে চায়। শুক্রবার রাতে এনিয়ে এক বৈঠক হয় টঙ্গিরঘাট গ্রামে। এসময় আলহাজ মিয়ার সাথে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে তাইবুল্লাসহ গ্রামবাসির। এরই জের ধরে শনিবার উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে আলাছ মিয়া, আকল মিয়া, আফসর মিয়া, মোহাম্মদ আলী, মইনুল ইসলাম, জরিমান বেগম, মুশাহিদ, হাসান মিয়া, শ্যামল মিয়া, জনি মিয়া, আনছব আলী, মুন্না আক্তার, আতর আলী, ইসলাম উদ্দিন, আফজল মিয়া, জাকির আলী, মোহাম্মদ আলী, আহম্মদ আলী, কালাম মিয়া, শাহিদ মিয়া, আব্দুল মিয়া, সুমন মিয়া, মিজান আলী, আমান আলী, রমজান আলী, ফারজাহান আক্তার, আতাবুর রহমান, বিল্লাল মিয়া, ইরফান মিয়া, হাবিবুর রহমান, এংরাজ মিয়া, সম্রাট মিয়া, আব্বাস আলী, জামান মিয়া ও সাদেক মিয়াকে হবিগঞ্জ আড়াইশ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎকসা দেওয়া হয়েছে।
মো. তাইবুল্লাহ জানান, ১৪ লাখ টাকা মসজিদের ফান্ডের টাকা। আমিসহ গ্রামবাসী স্বচ্ছতার জন্যেই এই টাকা ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করে রাখার জন্য বলেছি। কিন্তু আলহাজ মিয়া, সত্তার মিয়াসহ কিছু লোক এই টাকা অযথা খরচ করতে চায়। এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। বিগত সংসদ নির্বাচনে আলহাজ মিয়া মসজিদের ৮০ হাজার টাকা নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে ভোটারদের মধ্যে বিতরণ করে দেয়। যা নিয়ে তার ওপর ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী।
হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।