সুচিকিৎসার দাবিতে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে অভ্যুত্থানে আহতদের অবরোধ

সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণসহ নানা দাবিতে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতরা।
আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টার দিকে তারা পঙ্গু হাসপাতালের সামনের দুই পাশের সড়কে ব্যারিকেড দেন। আহত বেশ কয়েকজন সড়কে শুয়ে পড়েন।
সড়ক অবরোধের কারণে আগারগাঁও থেকে শিশু মেলা লিংক রোড ও শ্যামলীর আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সড়কটি দিয়ে চলাচল করা মানুষেরা। একই দাবিতে গতকাল মধ্যরাতেও পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কে ব্যারিকেড দিয়েছিলেন আহতরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পঙ্গু হাসপাতাল, নিউরো সায়েন্স ও চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শতাধিক আহত ব্যক্তি রাস্তায় নেমেছেন। সড়কে কাউকে শুয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়, কাউকে স্ট্রেচারে ভর করে। তারা নানা ধরনের বৈষম্যবিরোধী স্লোগান দেন।
আহতরা জানান, তিন মাস আগেও জুলাই আন্দোলনে আহতরা পঙ্গু হাসপাতালের সামনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন। তখন মধ্যরাতে হাসপাতালের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও উপদেষ্টাসহ চারজন তাদের দাবি দাওয়া পূরণের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা সরে যায়। পরে তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে আহতদের স্বীকৃতি এবং পুনর্বাসন, চাকরির ব্যবস্থা, চিকিৎসা ও ভাতা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। এরপর এতদিন তাদের কোনো একটি দাবিও সরকার পূরণ করেনি বলে আন্দোলনকারীরা দাবি করেন।
আহত আন্দোলনকারীদের দাবি, জরুরি ভিত্তিতে তাদের তিনটি দাবি না মানা পর্যন্ত তারা সড়কে থেকে সরবেন না। জরুরি ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান তারা। এ ছাড়া প্রত্যেক আহতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এবং সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ভিত্তিতে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানান।
আহতরা বলেন, আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ঘটানোর আন্দোলনে আহতরা টাকা-পয়সা কিছুই চাই না, শুধু সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন চাই। শেখ হাসিনার পতনের পর যে সরকার আমাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারেনি তাদের কাছে আমাদের আর কোনো আস্থা নাই। উপদেষ্টাদের প্রতিও আমাদের কোনো আস্থা নাই। যে কারণে আজকে আমরা রাস্তায় নেমেছি।