কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে যুবদলনেতাকে মারধর

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসাইন নৌশাদকে মারধর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে মিঠামইন উপজেলা বাজারের শিকদার গেস্ট হাউজের নিচে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মিঠামইন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসাইন নৌশাদকে মারধর করেন শহীদ জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক টুটুল ও জিয়া প্রজন্ম দলের যুগ্ম আহবায়ক সজিবের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে হঠাৎ করে নৌশাদকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকেন টুটুল ও সজিবের নেতৃত্বে ১০-১২ জন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শহীদ জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক টুটুল মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘জ্বী, জ্বী মারছি। আমার গোষ্ঠীর দাদা মোমেদ আলীর দোকান একমাস আগে জোর করে বন্ধ করে দেয় নৌশাদ। দোকান চালু করতে এক লাখ টাকা ও প্রতি মাসে ভাড়া দাবি করে নৌশাদ।’
এ বিষয়ে মোমেদ আলীর ছেলে আশিকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের দোকান একমাস আগে বন্ধ করে দেয় নৌশাদ। আমরা ইউনিয়ন পরিষদকে ভাড়া দিতাম। কিন্তু তিনি চান তাকে ১০ হাজার টাকা করে ভাড়া দেই। আর জামানত বাবদ ১ লাখ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করেন তিনি। আমার ভাতিজা টুটুলকে বলছিলাম, বিষয়টা শেষ করে দিতে। পরে আজকে এ ঘটনা ঘটে। আমি গণ্ডগোলে ছিলাম না।’
মিঠামইন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নৌশাদ শিকদার বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না কী কারণে আমাকে অর্তকিতভাবে হামলা করে মারধর করল। আমি কারও কাছ থেকে কোনো চাঁদা দাবি করি নাই। আমি জানিই না কিছু। ধারণা করছি প্রতিহিংসা থেকে আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমি অসুস্থ এজন্য থানায় যেতে পারতেছি না।’
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন বলেন, ‘এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত তাদের দল থেকে বহিষ্কার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিউল আলম বলেন, ‘আমি কিছুই শুনিনি। কোনো অভিযোগও পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’