মন্ত্রণালয়ে গিয়ে তদারকি করা ছাত্রদের কাজ নয় : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা শুনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ ডিসি অফিসে, এসপি অফিসে গিয়ে নাকি ছাত্ররা বসে থাকে। যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা রয়েছে। তাদের অবদান আমরা ভুলি নাই। কিন্তু তারা যদি ডিসিকে নির্দেশ করে, এসপিকে নির্দেশ করে, ডিসি-এসপির ঘরে গিয়ে বসে থাকে, তাহলে আইন প্রয়োগ হবে কী করে? ছাত্রদের কাজ তো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে তদারকি করা নয়।
আজ সোমবার (১০ মার্চ) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে সারা দেশে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আরও বলেন, ডিসি-এসপিরা অন্যায় করলে আপনারা ক্যাম্পাসে তার প্রতিবাদ করুন। আপনার জায়গা ক্যাম্পাস। আপনার হাতে বই থাকবে। আপনি শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও কীভাবে মজবুত করা যায় সেগুলো নিয়ে কাজ করুন। আপনাদের কাজ তো ডিসি অফিসে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে তদারকি করা নয়। একটা কথা আছে না বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। ছাত্রদের কাজ ক্যাম্পাসে, ছাত্রদের কাজ ক্লাসরুমে, ছাত্রদের কাজ লাইব্রেরিতে; মন্ত্রণালয়ে নয়।
অন্তর্বর্তী সরকারকে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সমর্থন দিয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা যদি কোনো অভিযোগ করি এটাকে তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) ব্যক্তিগতভাবে নেয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এখন আবার কৌশলে প্রতিশোধ গ্রহণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রকারান্তরে কী হচ্ছে- আজকে ধর্ষণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। আজকে নারীরা নিরাপদ নয়। আপনার মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে তার প্রত্যাবর্তন কীভাবে হবে, সে কি ক্ষতবিক্ষত হয়ে বাসায় ফিরবে নাকি স্বাভাবিকভাবে বাসায় ফিরবে; তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। যদি আইনের প্রয়োগ ঠিকঠাক মতো হতো তাহলে এই পরিস্থিতি হতো না। অন্তর্বর্তী সরকারকে সবাই সমর্থন দিয়েছে কিন্তু এখনও কেনো এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে?
বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, শিশু নির্যাতনের মহাউৎসব চলেছে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে। সবচাইতে বেশি নারী নির্যাতিত হয়েছে শেখ হাসিনার শাসনামলে। তিনি কোনো কিছুই তোয়াক্কা করেননি। নৈতিক শিক্ষা হয় পরিবার থেকে, স্কুল থেকে, কলেজ থেকে। কিন্তু শেখ হাসিনা সবাইকে শিখিয়ে গেছেন আমার বাবাকে তোমরা জাতির পিতা বলবে। স্কুল-কলেজের পাঠ্যবইয়ে শুধু শেখ হাসিনার পরিবারের কাহিনি লেখা থাকতো।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।