পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান চৌমুহনী পৌর পার্ক

নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌর আধুনিক পার্ক এবার ঈদে ঘুরতে আসা মানুষকে একরাশ স্বস্তি দিতে পেরেছে। ঈদ ছাড়াও প্রতিদিন বিকেলে এ স্থানে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক নারী-পুরুষ ও শিশুরা ঘুরতে এসে আনন্দ পান।
নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ব্যস্ততাপূর্ণ ও জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনীতে অবস্থিত এই পৌর পার্ক। এ পার্কটি বেগমগঞ্জ দীঘি নামেও পরিচিত। বাংলাদেশ মিউনিসিপাল গভর্নেন্স এন্ড সার্ভিসেস প্রজেক্টের (এমজিএসপি) আওতায় মিউনিসিপাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড কর্তৃক প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে পার্কটি নির্মাণ করেন তৎকালীন পৌর মেয়র মামুনুর রশিদ কিরণ।
এখানকার সবুজ ঝাউবন ও দীঘির শিতল হাওয়া ঘুরতে আসা পর্যটকদের মন প্রশান্তিতে ভরে তোলে। তবে অনেক পর্যটক অভিযোগ করে বলেন, এখানে বসার সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। পৌর কর্তৃপক্ষ বসার জন্য কিছু পাকা বেঞ্চ নির্মাণ করলেও তাতে থাকে অনেক ময়লা-আবর্জনা। আর পাশে বেগমগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) অফিস থাকলেও পার্কে কোনো পুলিশ না থাকায় নিরাপত্তার অভাবে ভয় পান অনেকে। সন্ধ্যা হলেই পার্কটিতে ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়া পর্যটকদের জন্য জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌরাস্তার কাছে নোয়াখালী কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট (এটিআই), হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, লালচর, নিমতলী সী-বিচ, চর ঈশ্বর ইউনিয়নের কমলা দীঘি, কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নের ক্লোজার ঘাট, সোনাইমুড়ি উপজেলার গান্ধী আশ্রম, বজরা শাহী জামে মসজিদ, সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের গোপালপুর চৌধুরীবাড়িও অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। এই সবগুলো স্থানের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে সম্প্রতি।