করোনার পরে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুট হবে কীভাবে, চিন্তিত পরিচালক!
করোনাভাইরাসের তাণ্ডব কবে থামবে, তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তবে করোনার দিনগুলো শেষে বিশ্ব কেমন হবে, তা নিয়ে কেউ কেউ ভাবতে শুরু করেছেন এখনই। অর্থনীতিবিদেরা ভাবছেন অর্থনীতি নিয়ে, রাজনীতিবিদদের চিন্তা রাজনীতির হালচাল নিয়ে, রাষ্ট্রবিদদের ভাবনাজুড়ে রয়েছে রাষ্ট্রচিন্তা। চলচ্চিত্র অঙ্গনে যাঁরা নিজেদের জড়িয়ে রেখেছেন, তাঁরাই বা বাদ যাবেন কেন! ভাবছেন তাঁরাও। আর সেই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসছে নানা প্রশ্ন।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, বলিউডি চলচ্চিত্রে নিয়মিতই আলিঙ্গন ও চুম্বনের দৃশ্য দেখা যায়। তবে করোনাকালের ইতির পরে কেমন হবে চলচ্চিত্র অঙ্গন, তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন পরিচালক সুজিত সিরকার।
‘এসব শেষ হয়ে যাওয়ার পর ছবিতে অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলোর শুটিং নিয়ে কেমন পরিকল্পনা বা দেখানো হবে? বিশেষত অন্তরঙ্গ চুমু, জড়িয়ে ধরার দৃশ্য। কতটা কাছে কিংবা কতটা দূরে...।’ ‘পিকু’খ্যাত এই পরিচালক লেখেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে।
দুদিন আগে প্রকাশ্যে আসে সুজিতের ওই পোস্টটি। এতে মন্তব্যের ঘরে চিত্রনায়িকা দিয়া মির্জা লেখেন, ‘গুরু, একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের পুরো পদ্ধতিই অন্তরঙ্গ! একটির পর একটি দৃশ্য তৈরিতে অনেকগুলো মানুষ একত্রে কাজ করেন। আপনি অন্তরঙ্গ দৃশ্যের কথা বলছেন, কিন্তু সবকিছু কীভাবে পরিবর্তিত হবে? আমরা সবাই কি মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করব ক্রু হিসেবে? সময়ই বলে দেবে।’
এক নেটিজেন মজা করে লেখেন, ‘ষাট-সত্তরের দশকে ফিরে যান। দুটো ফুলের দোলা দেখান।’ আরেকজন অবশ্য শুটিংয়ে লোকসমাগম কমানো নিয়ে চিন্তিত। ‘একসঙ্গে ৫০ জন জড়ো হওয়া নিষিদ্ধ করা হলে এই শিল্প কীভাবে শুট করবে,’ প্রশ্ন করেন তিনি। আরেক নেটিজেন ভার্চুয়াল অন্তরঙ্গতার পক্ষে। ‘আমার মনে হয় করোনার ভ্যাকসিন খুঁজে পাওয়ার আগ পর্যন্ত ভার্চুয়াল অন্তরঙ্গতার সময় এসেছে,’ বলেন তিনি।