কান্নাজড়িত কণ্ঠে মাহফুজুর রহমানকে স্মরণ করলেন ববিতা-চম্পা
খ্যাতিমান চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমানের মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছেন সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকেই। তাঁর এই চলে যাওয়াকে মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে সহশিল্পীদের। তাঁর সঙ্গে কাজের স্মৃতি বর্ণনা করতে গিয়ে কেঁদেছেন তারকারা।
মাহফুজুর রহমানের চলে যাওয়ার বেদনাকে অভিনেত্রী ববিতা তুলনা করছেন ‘আপনজন হারানোর কষ্টের’ সঙ্গে। এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার এই অবস্থানে আসার পেছনে মাহফুজ ভাইয়ের অবদান অপরিসীম। তাঁর দেওয়া উৎসাহ আমাকে ব্যাপক অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তাঁর অসুস্থতার খবর শুনে হাসপাতালে গিয়েছি। এত তাড়াতাড়ি তিনি মারা যাবেন, তা ভাবিনি।’
আরেক খ্যাতিমান অভিনেত্রী চম্পা বলেন, “আমার হাতেখড়ি মাহফুজুর রহমান ভাইয়ের কাছ থেকে। ‘তিন কন্যা’ ছবিতে চিত্রগ্রাহক ছিলেন মাহফুজ ভাই। প্রায়ই আপাদের সঙ্গে এফডিসিতে যেতাম। এ ছাড়া তিনি নিয়মিত আমাদের বাসায় যেতেন। তাঁর সঙ্গে আমাদের ছিল পারিবারিক সম্পর্ক।”
দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কিংবদন্তি চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
গত ৩০ নভেম্বর দুপুর সোয়া ১টার দিকে মাহফুজুর রহমান খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এর আগে ২৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা মাহফুজুর রহমান খানকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করান। ফুসফুসে রক্তক্ষরণের কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।
মাহফুজুর রহমান খানের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৯ মে, পুরান ঢাকার হেকিম হাবিবুর রহমান রোডের এক বনেদি পরিবারে। তিনি পেশাদার চিত্রগ্রাহক হিসেবে ১৯৭২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন। এরপর তিনি আলমগীর কবির, আলমগীর কুমকুম, হুমায়ূন আহমেদ, শিবলী সাদিকদের মতো চলচ্চিত্র পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেন। চিত্রগ্রহণের জন্য তিনি নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটবার বাচসাস পুরস্কার এবং একবার বিশেষ বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন।