যথেষ্ট পরিমাণে জীবিত আছি : বেসবাবা সুমন
“যারা বলে বেড়াচ্ছে আমি ‘মৃত্যুর দিন গুনছি’— তাদের কথা সিরিয়াসলি নেবেন না। একটু আগেও চেক করলাম, আমি যথেষ্ট পরিমাণে ‘জীবিত’ আছি।” নিজের সবশেষ শারীরিক অবস্থার আপডেট জানিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা বাংলাদেশের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ‘অর্থহীন’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন (বেসবাবা সুমন)।
গেল মাসে (মার্চ) চেকআপের জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গতকাল ফেসবুক হ্যান্ডেলে সংগীতশিল্পী সুমন জানিয়েছেন, ‘আমার অবস্থা চলছে কোনোরকম। সারা দিন হোটেলে বসে সাইবারপাঙ্ক খেলি আর তিন দিন পর পর হাসপাতালে যাই থেরাপি করতে। নেক্সট মাসে ঢাকা চলে আসব ইনশাআল্লাহ। কয়েকটা সার্জারি করাতে হবে। স্পাইনের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। সম্ভবত ঈদের পর জার্মানিতে গিয়ে করাব...। যাই হোক, সবাই সাবধানে থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।’
বেসবাবা সুমন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। একটি অস্ত্রোপচারের জন্য বেসবাবা সুমনের জার্মানি যাওয়া প্রয়োজন ছিল। চিকিৎসকের সাক্ষাতের তারিখ নেওয়ার পরেও করোনার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি গেল বছরের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত। অবশেষে জটিলতা বাড়ায় তাঁকে ব্যাংককে নেওয়া হয়েছে।
ক্যানসারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সেই আঙুল দিয়ে বার বার গিটারে ঝড় তুলেছেন যিনি, তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ‘অর্থহীন’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন (বেসবাবা সুমন)। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বেস গিটারিস্ট সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন তাঁর রক-সংগীতের জীবন শুরু করেন ১৯৮৬ সালে ‘ফ্রিকোয়েন্সি’ ব্যান্ড গঠনের মাধ্যমে। ১৯৯৭ সালে যোগ দেন ব্যান্ড ‘ওয়ারফেজ’-এ গিটারবাদক হিসেবে। দুই বছর পর ‘ওয়ারফেজ’ ছেড়ে সুমন নিজের প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুমন ও অর্থহীন’ প্রকাশ করেন এবং সে বছরই প্রতিষ্ঠা করেন ‘অর্থহীন’ ব্যান্ড। ২০১৩ সাল থেকে একাধিকবার ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও গান ছাড়েননি আলোচিত গিটারিস্ট।