শুভ জন্মদিন নকীব খান
গীতিকার-সুরকার ও সংগীতশিল্পী নকীব খান। ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘তুমি বললে’, ‘ভালো লাগে জোৎস্না’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘যদি লক্ষ্য থাকে অটুট’—এমন অসংখ্য গানের সুরকার তিনি। ১৯৫৩ সালে আজকের এই দিনে (১৮ মার্চ) চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
নকীব খানের বাবার নাম আইয়ুব খান। তাঁদের তিন ভাইয়ের সবাই ব্যান্ড সংগীতের সঙ্গে যুক্ত। বড় ভাই সুরকার-গীতিকার জালাল উদ্দিন খান জিল্লু এবং ছোট ভাই শাহবাজ খান পিলু ড্রামার, ভোকালিস্ট ও গীতিকার।
কিশোর বয়েসেই ব্যান্ড সংগীতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন নকীব খান। ‘বালার্ক’ নামের একটি ব্যান্ডে গায়ক ও পিয়ানিস্ট হিসেবে তাঁর প্রথম আত্মপ্রকাশ। কিছু দিন গাওয়ার পর ‘বালার্ক’ ছেড়ে যোগ দেন ‘সোলস’-এ।
‘সোলস’ হলো স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে সাহেদ উল আলমের নেতৃত্বে নতুন স্বপ্নে বিভোর কিছু তরুণের সমন্বয়ে গঠিত ‘সুরেলা’ নামের একটি অর্কেস্ট্রা দল। ১৯৭৪ সালে যার নাম পরিবর্তিত করে ‘সোলস’ রাখা হয়। সাজেদ, লুলু ও রনি তখন এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। প্রখ্যাত শিল্পী তপন চৌধুরী ও আহমেদ নেওয়াজের পর অতি অল্প সময়ের মধ্যে ১৯৭৪ সালে ‘সোলস’-এ যোগ দেন নকীব খান। নকীব খান যোগ দেওয়ার পর নিজেদের সুর ও কথায় গান কম্পোজ শুরু হয়।
‘সোলস’-এর সঙ্গে কেটেছে প্রায় ১০ বছর। বাবা মারা যাওয়ার পর ব্যক্তিগত কারণে চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন নকীব খান এবং গড়ে তোলেন নিজের ব্যান্ড ‘রেনেসাঁ’।
১৯৮৫ সালে নকীব খান ‘সোলস’ ছেড়ে ঢাকায় আসার পর এই ব্যান্ড গঠন করেন। জন্মের তিন বছর পর ১৯৮৮ সালে দলটির প্রথম অ্যালবাম ‘রেনেসাঁ’ বাজারে আসে। প্রথম অ্যালবামে নিজেদের প্রতিভার কথা জানান দিতে সক্ষম হয় দলটি। ১৯৯৩ সালে ‘তৃতীয় বিশ্ব’ নামে দ্বিতীয়, ১৯৯৮ সালে ‘৭১-এর রেনেসাঁ’ নামে তৃতীয় এবং ২০০৪ সালে ‘একুশ শতকের রেনেসাঁ’ নামে চতুর্থ অ্যালবাম বাজারে আসে।
১৯৯৩ সালে নুসরাত খানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নকীব খান। বর্তমানে তিনি এক কন্যা ও পুত্রসন্তানের জনক। মেয়ের নাম ফাবিহা খান ও ছেলের নাম জারিফ খান। জন্মদিনে অসংখ্য ভক্তের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি।