সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে সার্কাস শুরু হয়েছে : ইমরান হাশমি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/08/04/aa.jpg)
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর এবার মুখ খুললেন অভিনেতা ইমরান হাশমি। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানান অভিনেতা। পাশাপাশি বলেন, সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সার্কাস শুরু হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন এক মাসের বেশি আগে। এ মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত চলাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ইস্যুতে কথার যুদ্ধ চলছে। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান হাশমি বলেছেন, পুরো ব্যাপারটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সার্কাস চলছে।
ইমরান আরো বলেন, সুশান্তের পরিবারের প্রতি তাঁর গভীর সমবেদনা রয়েছে। তাঁর বিশ্বাস, প্রত্যেকের উচিত সুশান্তের পরিবারকে স্বস্তিতে রাখা। ইমরানের মতে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সার্কাস চলছে এবং তিনি এসব থেকে দূরে রয়েছেন।
জি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তভার যাতে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়, সে বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে বিহার সরকারের তরফে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার এ বিষয়ে মুখ খোলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। তবে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তভার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত প্রক্রিয়া যাতে বিহার থেকে মুম্বাইয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, সে বিষয়ে আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। অন্যদিকে রিয়ার আবেদনের পরই শীর্ষ আদালতের কাছে এ বিষয়ে ক্যাভিয়েট দাখিল করেন সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী।
প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কে কে সিং নানা অভিযোগ এনে রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ সব দৃষ্টিকোণ থেকে এ মামলার তদন্ত করছে। সুশান্তের বাবার অনুরোধে আর্থিক দিকগুলোও তদন্ত করছে পুলিশ।
গত ১৪ জুন আত্মহত্যা করেন সুশান্ত। তবে কঙ্গনা রনৌতসহ অনেকে একে খুন বলে অভিহিত করেছেন। অনেকে বলেছেন, সুশান্ত স্বজনপোষণের শিকার। মুম্বাই পুলিশ নানা দৃষ্টিকোণ থেকে এ মামলার তদন্ত করছে।
মামলার পর রিয়া চক্রবর্তী, শেখর কাপুর, আদিত্য চোপড়া, সঞ্জয় লীলা বানসালি, মুকেশ ছাবড়াসহ ৫০ জনের বেশি মানুষের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ।