সৃষ্টিশীল মানুষকে হারানো বেদনাদায়ক : কুমার বিশ্বজিৎ
বলিউডের বিখ্যাত সুরকার, কণ্ঠশিল্পী ওয়াজিদ খান মারা গেছেন আজ সোমবার (১ জুন)। ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া সাজিদ-ওয়াজিদ জুটির ওয়াজিদ কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমেছে।
ওয়াজিদ খানের মৃত্যুতে বেদনার্ত বাংলাদেশের নন্দিত সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। সৃজনশীল মানুষের কাজ দেশ-কাল-সীমানার গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে যায় বিশ্বদরবারে, গণমানুষের কাছে। তাই যেকোনো শিল্পীর মৃত্যুই নাড়া দেয় সংবেদনশীল মানুষকে।
আজ সোমবার এনটিভি অনলাইনকে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘এই যে মহামারিটা, সারা বিশ্বের কতগুলো ভাইটাল মানুষ চলে গেল। আমাদের দেশেও অনেককে আমরা হারিয়েছি। ওয়াজিদ খানের চলে যাওয়াটা আসলে মেনে নেওয়া যায় না। উনার তো বয়স হয়নি চলে যাওয়ার। যখন একজন সৃষ্টিশীল মানুষ চলে যান... সারা বিশ্বের সংগীত অঙ্গনের মানুষগুলো একটি পরিবারের। সংগীতের তো কোনো ব্যারিয়ার নেই। তাঁরা নিজের সুর দিয়ে তাঁদের সৃষ্টি দিয়ে পৃথিবীর মানুষকে আনন্দ বা বিনোদন দেন। বিশ্বায়নের এই যুগে নিজের পরিবারের একজন মানুষ চলে যাওয়া, সৃষ্টিশীল একজন মানুষকে হারানো বেদনাদায়ক।’
প্রয়াত ওয়াজিদ খানের সৃষ্টিশীল কাজ প্রসঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘তিনি অত্যন্ত সম্ভাবনার একজন মানুষ। তাঁর মাঝে যেমন কমার্স ছিল, চলচ্চিত্রের গানকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছেন। বিভিন্ন প্রদেশের সঙ্গে সংমিশ্রণ, রাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের সঙ্গে সংমিশ্রণ, আবার কমার্সও ছিল যথোপযুক্ত। আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। আমরা আমাদের সংগীত অঙ্গনের এমন একজনকে হারিয়ে ব্যথিত।’
সালমান খান অভিনীত ছবির মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন সাজিদ-ওয়াজিদ জুটি। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পেয়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া’ ছবির গানে প্রথমবারের মতো সুর দেন তাঁরা। তবে বছর ঘুরতেই সংগীত পরিচালক হিসেবে তাঁরা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হতে থাকেন। এই জুটি ‘দাবাং’ ফ্রাঞ্চাইজির জন্যও সুর করেছেন। এ ছাড়া সালমান অভিনীত ‘পার্টনার’, ‘গড তুসি গ্রেট হো’, ‘ওয়ান্টেড’, বীর’সহ আরো কিছু ছবিতে কাজ করেছেন তাঁরা।
দর্শকপ্রিয় গান ‘হুদ হুদ দাবাং’, ‘জালওয়া’, ‘চিন্তা তা চিতা চিতা’ ও ‘ফেভিকল সে’ গানেও সালমানের চরিত্রে কণ্ঠ দেন ওয়াজিদ খান। সালমানের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ গান ‘ভাই ভাই’ এ বছরের ঈদে মুক্তি পায়।