ক্যানসারের কাছে হারলেন ‘জেমস বন্ড’
চলে গেলেন স্যার রজার জর্জ মুর। এভাবে নামটা নিলে চিনতে সমস্যা হচ্ছে? তিনি রজার মুর। রুপালি পর্দায় তিনি পরিচয় দিতেন, ‘আই এম বন্ড, জেমস বন্ড!’ সেই রজার মুর আজ মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডে মারা গেছেন। ৮৯ বছর বয়স হয়েছিল এ ব্রিটিশ অভিনেতার।
ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন রজার মুর। তবে রোগটির সঙ্গে জেমস বন্ডের মতোই সাহস নিয়ে লড়াই করেছেন মুর। বিবিসি জানিয়েছে, এক টুইটবার্তায় রজার মুরের স্বজনরা তাঁর মুত্যুর খবর জানায়।
টুইটে মুরের সন্তান ডেবরা, জিওফ্রি ও ক্রিশ্চিয়ান লিখেছেন, ‘বহু মানুষের কাছে বিশেষ কিছু হওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।’ তাঁরা বলেন, ‘আমাদের বাবা স্যার রজার মুর আর নেই। আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’
ইউরোপের ছোট একটি দেশ মোনাকোতে আয়োজিত হবে মুরের শেষকৃত্যানুষ্ঠান। ওটাই ছিল মুরের ইচ্ছা।
মডেল ও টেলিভিশনে অভিনয়ের মাধ্যমে কাজ শুরু করলেও রজার মুর সারা বিশ্বে পরিচিত ছিলেন জেমস বন্ড সিরিজে অভিনয় করে। ১৯৭৩ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সাতটি চলচ্চিত্রে ‘জেমস বন্ড’ হয়ে বিশ্ব মাতিয়েছেন রজার মুর।
জেমস বন্ডের ভূমিকায় রজার মুরের প্রথম ছবি ছিল ‘লাইভ অ্যান্ড লেট ডাই (১৯৭৩)। এরপর একে একে ছয়টি চলচ্চিত্রে বন্ড হয়েছেন মুর। এগুলো হলো ‘দ্য ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন গান’ (১৯৭৪), ‘দ্য স্পাই হু লাভড মি’ (১৯৭৭), ‘মুনরেকার’ (১৯৭৯), ‘ফর ইউর আইস অনলি’ (১৯৮১), ‘অক্টোপাসি’ (১৯৮৩) এবং ‘এ ভিউ টু এ কিল’ (১৯৮৫)।
১৯৫৮ সালে ‘আইভানহো’ নামে একটি টেলিভিশন সিরিজের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন রজার মুর। জেমস বন্ড ছাড়াও অনেক বিখ্যাত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন মুর। সর্বশেষ ২০১১ সালে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
১৯২৭ সালের ১৪ অক্টোবর লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন রজার মুর। তিন সন্তানের জনক রজার মুর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন চারবার। সর্বশেষ ২০০২ সালে ক্রিস্টিনা থোলস্ট্রাপ নামে একজনকে বিয়ে করেন মুর।
মানবতার সেবায় কাজ করার জন্য ২০০৩ সালে রজার মুর নাইটহুড উপাধি লাভ করেন। অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের সঙ্গে ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হয়ে অনেক কাজ করেন রজার মুর।