দেশের সব সিনেমা হল বন্ধের হুমকি
রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত সিনেমা হল ‘মধুমিতা’র মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদের ‘লাঞ্ছনাকারী’দের গ্রেপ্তার না হলে দেশের সব সিনেমা হল বন্ধের হুমকি দিয়েছে দুটি সংগঠন।
আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার পর রাজধানীর মগবাজারের একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই হুমকি দেয় চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি ও সিনেমা হল মালিক সমিতি।
এই সংবাদ সম্মেলনের আরেক পক্ষ ছিল চলচ্চিত্র প্রযোজনাকারী প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়াও।
যৌথ প্রযোজনাকে যৌথ প্রতারণা আখ্যা দিয়ে গত মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ঘেরাও করে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) সক্রিয় ১৪টি সংগঠনের জোট ‘চলচ্চিত্র পরিবার’। এ সময় পুলিশ ও সেন্সর বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হয় চলচ্চিত্র পরিবার সংশ্লিষ্টদের। এর একপর্যায়ে চলচ্চিত্র পরিবারের শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে মধুমিতা হলের মালিক নওশাদ লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে দুটি সংগঠন ও একটি প্রতিষ্ঠান।
সংবাদ সম্মেলনে হল মালিক সমিতির উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবারের নাম দিয়ে যারা আন্দোলন করছে, তাদের চলচ্চিত্র পরিবারের অংশ বলা হচ্ছে। অথচ সিনেমা হলমালিকদের সেই পরিবার থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। যারা দিনের পর দিন সাধারণ মানুষকে সিনেমা দেখিয়ে গেছে, তাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।’
সাইফুল আরো বলেন, ঈদ থেকে পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে নওশাদকে লাঞ্ছনাকারীদের গ্রেপ্তার না করা হলে বাংলাদেশের সব সিনেমা হল বন্ধে করে দেওয়া হবে।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ঈদের সাতদিনের মধ্যে যদি সুষ্ঠু বিচার না হয়, তাহলে এফডিসির ১৪ সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কারো চলচ্চিত্র সিনেমা হলগুলোতে প্রদর্শন করা হবে না। এ ছাড়া ঈদের পর প্রদর্শক সমিতি ও হল মালিক সমিতি সারা দেশ থেকে চলচ্চিত্র প্রদর্শক ও মালিকদের নিয়ে এফডিসিতে মহাসমাবেশ করবে।
আওলাদ আরো বলেন, এফডিসি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এখানে কেউ কাউকে নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে না। এ সময় তিনি এফডিসিতে অভিনেতা শাকিব খান ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আজিজকে নিষিদ্ধের প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, তাঁরা দুটি সমিতির পাশে থাকবেন এবং চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক কাজী হায়াৎ, হল মালিক সমিতির সভাপতি নওশাদ, প্রযোজক মো. ইকবাল প্রমুখ।