আমার ব্যাটম্যানকে ভীষণ ভালো লাগে : আলিয়া ভাট
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/06/26/photo-1498444867.jpg)
আলিয়া ভাট, যাঁকে আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। ২০১২ সালে গুণী পরিচালক করণ জোহরের হাত ধরে বলিউডে পদার্পণ। এর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। বলিউডে প্রথম ছবি দিয়েই বাজিমাত করেছেন, এ রকম তারকা খুব কমই আছেন। আবার প্রথম ছবিতে আশা জাগিয়েও বলিউডের চাকচিক্যে হারিয়ে গেছেন অনেকেই।
তবে সেই পথের পথিক নন আলিয়া। ‘বদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া’, ‘টু স্টেটসে’র মতো ব্যবসাসফল ছবি করে যেমন ভক্তদের মনে ঠাঁই করে নিয়েছেন, তেমনি ‘হাইওয়ে’, ‘উড়তা পাঞ্জাবে’র মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করে কুড়িয়েছেন সমালোচকদের প্রশংসাও। তাই বেশ কিছু পরিচালকের পছন্দের তালিকায় শীর্ষেই রয়েছেন ২৪ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী। আর এ কারণেই বেড়েছে কাজের ব্যস্ততা। হাতে রয়েছে তিনটি চলচ্চিত্র। মেঘনা গুলজারের ‘কলিং শেহমাত’, অয়ন মুখোপাধ্যয়ের ‘ড্রাগন’ আর জয়া আক্তারের ‘গুল্লি বয়’। আসন্ন চলচ্চিত্রগুলোয় তাঁর পরিকল্পনা তিনি জানিয়েছিলেন ডিএনএ ইন্ডিয়াকে। এনটিভি অনলাইনের পাঠকের জন্য থাকছে সেটারই অনুবাদ।
প্রশ্ন : বলিউডে সাম্প্রতিক সময়ে সুপারহিরোকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু হিন্দি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তা থেকে ‘ড্রাগন’ কতটুকু আলাদা?
আলিয়া : ড্রাগন চলচ্চিত্রের গল্প আপনি আগে থেকে আন্দাজ করতে পারবেন না। আমি এতটুকু বলতে পারি, এটি এমন একটি গল্প, যার মধ্যে নতুনত্ব আছে। ড্রাগন চলচ্চিত্রটির গল্প আসলে একটি প্রেমের গল্প, যার সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে সুপারহিরোর ক্ষমতাকে মেশানো হয়েছে। কার কী ধরনের সুপারপাওয়ার আছে, তা এত আগে বলাটা বোধ হয় ঠিক হবে না। তবে এটি থ্রিলারধর্মী চলচ্চিত্র নয়। আমি জানি না, হয়তো ড্রাগন চলচ্চিত্রে আমরা এমন কিছু দেখতে পাব, যা আগে কখনো দেখিনি। এটাই সিনেমাটির আসল সৌন্দর্য।
প্রশ্ন : ছবিতে কি দর্শক আপনাকে মারকুটে চরিত্রে দেখতে পাবে নাকি আপনি শুধুই খলনায়কের খপ্পরে পড়া এক দুর্দশাগ্রস্ত নারী চরিত্র হয়ে থাকবেন?
আলিয়া : হ্যাঁ। আমাকে চলচ্চিত্রের অ্যাকশন দৃশ্যেও দেখা যাবে। তবে এই অ্যাকশন দৃশ্য অর্থহীন হবে না, বরং ছবিতে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে?
প্রশ্ন : অ্যাকশনধর্মী চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি কেমন?
আলিয়া : আমি অ্যাকশন চলচ্চিত্র করতে পছন্দ করি, যেখানে টানটান উত্তেজনা থাকবে। ড্রাগন অবশ্য সে রকম চলচ্চিত্র নয়। তবে কে জানে, ড্রাগন হয়তো আমার ধারণার চেয়ে বেশি কিছু দিয়ে দিতে পারে।
প্রশ্ন : অন্যান্য সুপারহিরো চলচ্চিত্রের মতো ড্রাগন কি শুধু শিশু-কিশোরদের জন্য নির্মিত হচ্ছে?
আলিয়া : শিশু-কিশোর তো বটেই, গোটা পরিবার চলচ্চিত্রটি দেখে আনন্দ পাবে। এমনকি পরিবারের মা-বাবা নিজেদের চলচ্চিত্রের সঙ্গে মেলাতে পারবেন। তবে এ জন্য শিকড়ে তাঁদের অবশ্যই ভারতীয় হতে হবে। ভারতীয় দর্শকদের ড্রাগনকে ভালো না লাগার কোনো কারণ নেই। তা ছাড়া আমাদের দেশে এমনিতেই শিশু-কিশোরদের জন্য খুব বেশি ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয় না। তবুও তাদের সঙ্গে আমার খুব ভালো যোগাযোগ রয়েছে। আমার ভক্তদের মধ্যে বড় একটি অংশ শিশু-কিশোর এবং এই চলচ্চিত্র সম্পূর্ণ তাদের জন্যই নির্মিত হচ্ছে।
প্রশ্ন : আপনার প্রিয় সুপারহিরো চরিত্র কোনটি?
আলিয়া : আমার ব্যাটম্যানকে ভীষণ ভালো লাগে।
প্রশ্ন : এটা কি সত্য যে ‘ড্রাগন’ চলচ্চিত্রটি তিন পর্বের একটি সিরিজ হতে যাচ্ছে? যা আগামী ১০ বছর ধরে মুক্তি দেওয়া হবে?
আলিয়া : হ্যাঁ। আমাদের তিন পর্বের সিরিজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ১০ বছর ধরে তা মুক্তি দেওয়ারও কথা রয়েছে। আয়ান (পরিচালক) এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।
যদি তিনি এ রকম কিছু বলে থাকেন, তাহলে হতে পারে ড্রাগনকে নিয়ে এটাই সম্ভাব্য পরিকল্পনা।
প্রশ্ন : রণবীর সিংয়ের সঙ্গে ‘গুল্লি বয়’ চলচ্চিত্র নিয়ে কিছু বলুন?
আলিয়া : রণবীর পুরোপুরি খামখেয়ালি ধরনের। আমি তাঁর সঙ্গে একাধিক বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি এবং আমি মোটামুটি ধারণা করতে পারছি তাঁর সঙ্গে শুটিং করতে গেলে কী কী হতে পারে। তাই ছবিটির জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। কারণ, গুল্লি বয় একটি আবেগপূর্ণ চলচ্চিত্র এবং আমাদের চরিত্র দুটিও বেশ আকর্ষণীয়। তাই আমাদের জুটিটি হবে অসাধারণ। আমি সব সময় জয়ার (জয়া আক্তার) সঙ্গে কাজ করতে চাইতাম। তিনি এককথায় চমৎকার। এ বছর আমি এমন দুজন অভিনেতা ও পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি, যাঁদের সঙ্গে আমি সব সময় কাজ করতে চাইতাম।