‘বাবা-মাকে আঙ্কেল-আন্টি ডেকেছি’
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/04/16/photo-1523872613.jpg)
নাজিবা বাশার। অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী। টিভি নাটক দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু, কাজ করেছেন চলচ্চিত্রেও। সম্প্রতি তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার গল্প ও অন্যান্য বিষয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন নাজিবা বাশার।
এনটিভি অনলাইন : তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত ‘রূপসা নদীর বাঁকে’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ছবিটিতে অভিনয়ের প্রস্তাব কীভাবে পেয়েছেন?
নাজিবা বাশার : ছবির কাস্টিং ডিরেক্টর ছিলেন চিত্রলেখা গুহ। তিনি আমার নাম তানভীর মোকাম্মেল আঙ্কেলকে বলেছিলেন। এ ছাড়া চার-পাঁচজনের নাম বলেছিলেন চিত্রলেখা গুহ। যা হোক, আমাকে অডিশনের জন্য ডাকা হয়। এরপর ছবির চরিত্র ঊর্মিমালার মতো করে আমাকে সাজানো হয়। সাজানোর পর কয়েকটা ছবি তোলা হয়।
এরপর তানভীর আঙ্কেলের মনে হয়েছে, আমি ঊর্মিমালার মতোই দেখতে। ছবিতে ঊর্মিমালা ব্রাহ্মণ মেয়ে থাকে। আমার নাকি ব্রাহ্মণ চেহারা আছে। তানভীর আঙ্কেল তাই বলেছেন। উনার পর্যবেক্ষণে আমি নাকি ভালো করতে পারব। ছবির শুটিং শুরু হয়ে গেছে। আমার অংশের শুটিং শিগগির শুরু হবে। এনটিভি অনলাইন : ছবির অভিনয়ের প্রস্তুতি কেমন?
নাজিবা বাশার : আমি ছবিটি নিয়ে বেশ নার্ভাস। কারণ এটা তানভীর মোকাম্মেলের ফিল্ম। অন্যান্য ফিল্ম যেভাবে করেছি, এই ছবি এত সহজভাবে করা যাবে না। ছবিতে আমার বাবা (মাসুম বাশার) অভিনয় করছেন। এ ছাড়া রাজীব সালেহীন, শোভন ভাই ও রামেন্দু মজুমদারের মতো অনেক বড় বড় অভিনেতা এই ছবিতে কাজ করছেন।
আমার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। আমি এখন স্ক্রিট মুখস্থ নিয়ে ব্যস্ত। ঊর্মিমালা একটা ফিকশনাল চরিত্র। আমার লুক ও চরিত্র নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে অনেকবার।
এনটিভি অনলাইন : আপনার বাবা মাসুম বাশার ও মা মিলি বাশার দুজনই অভিনয়শিল্পী। তাঁদের সঙ্গে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘যদি একদিন’ ছবিতে আপনি কাজ করছেন। ছবিটিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন হলো?
নাজিবা বাশার : ছবির প্রথম পর্যায়ের শুটিং শেষ। ছবির নায়িকা টলিউডের শ্রাবন্তী। শ্রাবন্তীর চরিত্রের নাম অরিত্রি। আমি চরিত্রের নাম আদ্রি। ছবিতে আমি শ্রাবন্তীর বেস্ট ফ্রেন্ড থাকি। আর শ্রাবন্তীর বাবা ও মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমার বাবা-মা। আমি পুরো সিনেমায় বাবা-মাকে আঙ্কেল-আন্টি ডেকেছি।
এনটিভি অনলাইন : বাবা-মাকে আঙ্কেল-আন্টি ডেকেছেন। অভিনয় করতে কোনো অসুবিধা হয়নি তো?
নাজিবা বাশার : মা-বাবা দুজনই এটাতে অভ্যস্ত। আমার অভিনীত দ্বিতীয় ধারাবাহিক নাটক ছিল ‘পিঞ্জর’। সেখানে বাবা আমার শ্বশুরের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।
অন্যদিকে, বদরুল আনাম সৌদের পরিচালনায় আমি ও আমার মা অভিনয় করেছিলাম। সেখানে আমার মা ফুপু ছিলেন।
আসলে মা-বাবার সঙ্গে অভিনয় করতে আমার কখনই সমস্যা হয় না। যখন শুটিং সেটে যাই এবং ক্যামেরা অন থাকে, তখন আমার মাথায় কোনো সম্পর্ক থাকে না। তখন আমার মাথায় খালি অভিনয়ই থাকে।
‘যদি একদিন’ ছবির সেটে শ্রাবন্তী অবাক হয়ে বলেছিল, ‘তোমার বাবা-মাকে আঙ্কেল-আন্টি ডাকতে হচ্ছে। কী অদ্ভুত! তখন আমি তাঁকে বলেছিলাম, ‘ আমরা অভ্যস্ত।’
এনটিভি অনলাইন : ‘যদি একদিন’ ছবিতে আপনার চরিত্রের গভীরতা কতটুকু পেয়েছেন?
নাজিবা বাশার : ছবিতে অরিত্রির জীবনে আদ্রির অনেক প্রভাব আছে। ওরা একই টাইপের। অরিত্রি অনেক মজা করতে পছন্দ করে। অন্যদিকে, আদ্রি অনেক হেল্পফুল ফ্রেন্ড। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অরিত্রির পাশেই থাকে আদ্রি। চরিত্রের গভীরতা পেয়েছি। এ ছাড়া রাজ ভাই শিল্পীদের অনেক স্বাধীনতা দেন।
এনটিভি অনলাইন : এবার অন্য প্রসঙ্গে কথা বলি। নাচ নিয়ে এখন আপনার ব্যস্ততা কেমন?
নাজিবা বাশার : নাচ নিয়ে এখন কাজ হচ্ছে না। মাঝখানে আমার বিয়ে, সামাজিকতা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম।
এনটিভি অনলাইন : নতুন সংসার কেমন চলছে?
নাজিবা বাশার : নতুন সংসার খুব মজার। আমাদের হানিমুন পিরিয়ড এখনো চলছে।
এনটিভি অনলাইন : হানিমুন কোথায় করবেন?
নাজিবা বাশার : এ বছরের শেষে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার কথা রয়েছে।