মায়ের পুরস্কার নিতে মায়ের শাড়িতে শ্রীদেবীকন্যা
ভারতের প্রয়াত দুই বলিউড কিংবদন্তি বিনোদ খান্না ও শ্রীদেবীকে ভূষিত করা হয়েছিল দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের ৪৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। মায়ের পুরস্কার হাতে নেওয়ার এই বিশেষ মুহূর্তে তাই তাঁর শাড়ি পরেই অনুষ্ঠানে আসেন শ্রীদেবীকন্যা জাহ্নবী কাপুর। ডিএনএ ইন্ডিয়ার খবরে প্রকাশ, এ সময় জাহ্নবীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বড় বোন জাহ্নবী কাপুর ও বাবা বনি কাপুর।
পুরস্কার নেওয়ার এই বিশেষ মুহূর্তের ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার দেন পোশাক নকশাকারক মনীষ মালহোত্রা। যার ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘জাহ্নবী মায়ের শাড়িকেই বেছে নিল।’ নিজের ৩০০তম এবং শেষ চলচ্চিত্র ‘মম’ ছবির জন্য চলচ্চিত্রে ভারতের সর্বোচ্চ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ‘চাঁদনি’খ্যাত তারকা শ্রীদেবী। অন্যদিকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য একই সম্মানে ভূষিত করা হয় বিনোদ খান্নাকেও।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না-ফেরার দেশে চলে যান শ্রীদেবী। ১৯৭৫ সালে ১৩ বছর বয়সে ‘জুলি’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ শ্রীদেবীর। এরপর ‘চাঁদনি’, ‘নাগিনা’, ‘সাদমা’, ‘জানবাজ’, ‘কারমা’, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’সহ অসংখ্য সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন। নায়িকা হিসেবে গড়ে তোলেন এক অনন্য কীর্তি। ১৯৮৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সাদমা’ বলিউডে তাঁকে স্বতন্ত্র স্থান দেয়। সমালোচকদের মতে, শ্রীদেবী অভিনীত ‘লামহে’ ভারতীয় সিনেমার ১০০ বছরের ইতিহাসে সেরা ১০টি রোমান্টিক ছবির মধ্যে অন্যতম।
অন্যদিকে ব্লাডারের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে গত বছরের ২৭ এপ্রিল পরপারে পাড়ি জমান বিনোদ খান্না। ১৯৬৮ সালে ‘মান কি মিত’ ছবি দিয়ে বলিউডে পা রাখেন তিনি। সেখানে সুনীল দত্তের বিপরীতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন বিনোদ। এরপর খলচরিত্রেই অভিনয় করে যাচ্ছিলেন তিনি, এরপর সত্তরের দশকের ‘পুরাব আউর পশ্চিম’ ও ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’-এর মতো ছবিগুলোতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছিলেন বিনোদ। ১৯৭১ সালে ‘হাম তুম অউর ওহ’ ছবিতে মূল চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পান বিনোদ। এরপর গুলজার পরিচালিত ‘মেরে আপনে’ ছবিতেও মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি।