কান চলচ্চিত্র উৎসব
দেশের উদীয়মানদের জন্য অনন্য সুযোগ
কানে হয়ে গেল তিন দিনের ‘ঢাকা টু কান’ প্রকল্পের কার্যক্রম। বাংলাদেশের উদীয়মান চলচ্চিত্রকারদের বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে এই প্রকল্প। এই উদ্যোগের প্রধান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ইনেশিয়েটিভ অব বাংলাদেশ—আইএফআইবির সভাপতি সামিয়া জামান বলছেন, শুধু কানেই নয়, তাঁরা বিশ্বের অন্যান্য উৎসবেও ছড়িয়ে দিতে চান বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন প্রজন্মের দূতদের।
ঢাকা থেকে এবারের কানে এই কার্যক্রমে যোগ দিয়েছিলেন দুই তরুণ নির্মাতা সুমন দেলওয়ার ও রেজওয়ান সুমিত।
রেজওয়ান সুমিত তৈরি করছেন সিনেমা ‘নোনাজলের কাব্য’। আর সুমন দেলোয়ার এসেছেন তাঁর প্রস্তাবিত ‘মাই সিস্টার মাই ফ্রেন্ড’ প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে। কর্মশালায় তাঁরা সুযোগ পেয়েছেন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র পরিচালক, চলচ্চিত্র নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকের। কথা বলেছেন, আন্তর্জাতিক প্রযোজনা সংস্থা, পরিবেশক ও সেলস এজেন্টের সঙ্গে। যা তাঁদের এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। সেইসঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হবে বিশ্ব চলচ্চিত্রের সঙ্গে। তিন দিনে তাঁরা দফায় দফায় নানা কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন।
গ্লোবাল ফিল্ম এক্সপ্রেশন প্রকল্পের আওতায় আইইএফটিএ বিশ্বের পাঁচটি দেশের ১০ নির্মাতাকে নিয়ে কান চলচ্চিত্র উৎসবের ফিল্ম মার্কেট মাশে দ্যু ফিল্ম এ প্রডিউসার্স ওয়ার্কশপের আয়োজন করে।
নির্মাতা রেজওয়ান সুমিত তাঁর অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে বলেন, ‘কানের পরিসর দেখে আমি মুগ্ধ। শুধু চলচ্চিত্র প্রদর্শনই নয়, চলচ্চিত্রকে ঘিরে এত বড় আয়োজন সত্যিই অনন্য অভিজ্ঞতা। আমাদের দেশে ফিল্ম মার্কেটের ধারণাটা অজানা। এটি গড়ে উঠলে সবাই উপকৃত হবেন।’
আর প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা সুমন দেলওয়ারের কাছে এই কার্যক্রম শুধুই শেখার। তিনি বলছেন, ‘আমি দারুণ উত্তেজিত। কর্মশালায় চলচ্চিত্রের অর্থায়ন, ক্রাউড ফান্ডিং, লো বাজেট ফিল্ম মেকিং নিয়ে খুব চমৎকার কিছু সেশন ছিল। অডিয়েন্সের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে জরিপনির্ভর আলোচনা শুনেছি। কয়েকজনের সঙ্গে আমার প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি, খুব শিগগির ভালো ফিডব্যাক পাব।’
ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জিং ফিল্ম ট্যালেন্ট অ্যাসোসিয়েশন—আইইএফটিএর সহযোগিতায় আইএফআইবি গেল বছর থেকে এই কার্যক্রম শুরু করেছে।
গেল বছর কানের ৭০তম আসরে বাংলাদেশের আবেদ মল্লিক ও লুবনা শারমিন এই সুযোগ পান।