রূপালি জগতে শাকিব খানের বিশ বছর
‘প্রথম ছবি থেকেই আমি দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছি। সবার ভালোবাসা আমার জন্য উৎসাহ হয়ে কাজ করেছে। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সবাই দোয়া করবেন আমি যেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যেতে পারি, আর সুস্থ শরীরে সারাজীবন কাজ করতে পারি।’ চলচ্চিত্র জগতে ২০ বছরে ধরে কাজ করে চলেছেন শাকিব খান। দীর্ঘ সময় এই রূপালি জগতে কাজ করার অনুভূতি এভাবেই তিনি প্রকাশ করেন এনটিভি অনলাইনের কাছে।
শাকিব খানের প্রথম ছবি ‘অনন্ত ভালোবাসা’ মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালের ২৮ মে। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন সোহানুর রহমান সোহান। ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন মৌসুমীর ছোট বোন ইরিন জামান। সেই হিসেবে ১৯ বছর পেরিয়ে আজ ২০ বছরে পা রাখলেন শাকিব খান। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের ছবিতেও সমানভাবে কাজ করছেন। ‘শিকারি’ ছবি দিয়ে প্রথম কলকাতার বাজারে পা রাখেন তিনি। শুরুতেই বাজিমাত। এরপর নবাব, ভাইজাইন এলোরে সহ আরো বেশ কিছু কলকাতার ছবিতে কাজ করছেন তিনি।
শাকিব খানের চলচ্চিত্রে আসা যার হাত ধরে, সেই পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান বললেন এই তারকার শুরুর দিককার কথা, ‘আমি ‘অনন্ত ভালোবাসা’ ছবিটি যখন নির্মাণ করার প্রস্তুতি নিই, তখনই চিন্তা করি নতুন এক জোড়া ছেলেমেয়ে নিয়ে কাজটি করবো। সেই হিসেবে অনেকেই অনেক ছেলের ছবি দেখাচ্ছিলেন। আমি সাউন্ড কমপ্লেক্সে কাজ করে বের হচ্ছিলাম, এমন সময় ডান্স ডিরেক্টর আজিজ রেজা আমাকে জড়িয়ে ধরেন। তিনিই তখন শাকিব খানের ছবি দেখান এবং তাকে ছবিতে নিতে অনুরোধ করেন। ছবি দেখার পর পরই আমার মনে হলো এই ছেলেটি ভালো করবে। তারপর কাজ শুরু, প্রথম ছবিতেই সে অনেক ভালো করেছে। আজও ভালো করছে।’
শাকিবের দুই বাংলায় কাজ করা নিয়ে সোহান বলেন, ‘আসলে একটা সময় যৌথ প্রযোজনার মাধ্যমে কলকাতার শিল্পীরা আমাদের দেশে অবস্থান তৈরি করছিলো। বিষয়টি নিয়ে আমরা ভীত ছিলাম। কিন্তু একটি যৌথ প্রযোজনার ছবিতে কাজ করে কলকাতার নির্মাতা, প্রযোজক ও দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় শাকিব। কিছুদিন পর সাফটা চুক্তির মাধ্যমে কলকাতার ছবি আসা শুরু হয়। এরই মধ্যে শাকিব কলকাতার লোকাল প্রডাকশনে নিজের জায়গা করে নিয়েছে এবং দাপটের সাথে কাজ করছে। শুনেছি কলকাতার অনেক শিল্পীই এখন তাঁকে নিয়ে ভীত। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
শাকিব খানের প্রতি প্রত্যাশা জানিয়ে সোহান বলেন, ‘আসলে একজন শিল্পীর কাছে প্রত্যশা সে যেন অভিনয় ভালোভাবে করেন। আর শাকিব খান নিজেকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, তাঁর প্রতি দেশের কিছু প্রত্যাশা থাকতেই পারে। আমি বলবো, সে যেন দেশের ছবি, দেশের পরিচালকদের যে সময়টা দেবে সেটা যেন সঠিকভাবে দেয়। তাঁর জন্য যেন কোন পরিচালক বা প্রযোজককে সাফার করতে না হয়। আর অবশ্যই তাঁকে দেশের পাশাপাশি ভিনদেশের ছবিতে কাজ করতে হবে, এতে শুধু তাঁর নয়, দেশের নামও উজ্জ্বল হবে।’