কোন দলের সমর্থক সুচন্দা-ববিতা-চম্পা?
‘আমি এমনিতে আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করি ছোটবেলা থেকেই। বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার সময় টিভির সামনে বসে থাকতাম। অবশ্য আমার ছোট বোন ববিতা ব্রাজিল দলের সমর্থক। কিন্তু আমাদের মাঝে খেলা নিয়ে ঝগড়া হতো না। দেখা গেল বাজিল বা আর্জেন্টিনা পরাজিত হলো, তখন আমরা যেটা জিতে যেত, সেটার পক্ষ নিতাম। কিন্তু চম্পা কোনো দল সমর্থন করত না। যেকোনো দল গোল দিলেই সে লাফিয়ে উঠে হাততালি দিত। নিজের দলের বিপক্ষে গোল হলে আমাদের মন খারাপ হতো, তখন চম্পা আমাদের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত, কেন আমরা আনন্দ করছি না?’ খেলা নিয়ে এভাবেই এনটিভি অনলাইনকে নিজেদের কথা বলছিলেন নায়িকা সুচন্দা।
বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে সুচন্দার ছোট বোন, নায়িকা চম্পারও কম স্মৃতি নেই। বললেন, ‘আমি আসলে সুচন্দা আপা আর ববিতা আপার মাঝে। নিজের পছন্দের দল আর তৈরি হয়নি। দেখা গেল খেলা দেখছি—ব্রাজিল গোল দিলে আনন্দ হতো, আবার আর্জেন্টিনা গোল দিলেও আনন্দ হতো। ব্রাজিল গোল দিলে আমার সাথে আনন্দে অংশ নিত ববিতা আপু, আর আর্জেন্টিনা গোল দিলে সুচন্দা আপু। আমি কিন্তু যেই গোল দিক আনন্দ পেতাম।’
ঈদ আর ফুটবল বিশ্বকাপ একই সময়ে শুরু হচ্ছে। তাই আনন্দটা বেশি, একসাথে খেলা দেখা যাবে বলে জানান সুচন্দা। বলেন, ‘গতবার বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা অনেকগুলোই আমরা একসাথে দেখেছি। কিন্তু এবার খেলাটা শুরু হচ্ছে ঈদের সময়। এই সময়টা সবাই নিজের পরিবার নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটায়। তা ছাড়া আমার শরীরটা একটু অসুস্থ, যে কারণে আজকের খেলাটা একসাথে দেখা হবে না। তবে অবশ্যই একসাথে আমরা খেলা দেখব।’
সুচন্দা আরো বলেন, ‘আসলে আমরা সব সময়ই একসাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করি। খেলা, রোজা বা ঈদ আমাদের কাছে একসাথে সময় কাটনোর উপলক্ষ মাত্র। আর খেলার বিষয়ে সবচেয়ে যেটা ভালো লাগে সেটা হলো, আমি আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করি, দেখা গেল ব্রাজিল জিতে গেছে, তখন আমি ববিতার আনন্দ দেখে আনন্দ পাই। মনে হয় আমার দল হেরে গেছে তাতে কী, ববিতার দল তো জিতেছে।’
চম্পা যোগ করেন, ‘দুই বোনের দুই দল নিয়ে আমি এত বেশি আনন্দিত ছিলাম যে আমার আর অন্য কোনো দল সাপোর্ট করা হয়নি। এতে করে একটা সুবিধাই হয়েছে, সেটা হচ্ছে এ দুই দলের মধ্যে যেই জিতুক, আমি অনেক আনন্দ পাই।’