শাকিবের সঙ্গে অভিনয় করায় কমলকে শাস্তি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/07/26/photo-1532602618.jpg)
১৯৮২ সাথে থেকে চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা কমল পাটেগার। এরই মধ্যে প্রায় এক হাজার ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে তিনি নির্বাচিত হয়ে একাধিকবার নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি সমিতি থেকে তাঁর সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। তিনি এনটিভি অনলাইনের কাছে অভিযোগ করেন, শাকিব খানের সঙ্গে ছবিতে অভিনয় করায় তাঁর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
কমল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “আমি নেতা হবো’ ছবিতে অভিনয় করেছিলাম শাকিব খানের সাথে। এই অপরাধে আমার সদস্যপদ খারিজ করে দেয় শিল্পী সমিতি। এটা আমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে। গত সপ্তাহে আমি শিল্পী সমিতিতে গিয়েছিলাম মাসিক চাঁদা দেওয়ার জন্য। সেখানে গিয়ে দেখি সমিতিতে আমার নাম নেই। এই ছবিতে তো আমি একা কাজ করিনি। ওমর সানি, মৌসুমী, কাজী হায়াৎসহ অনেক শিল্পী টেকনিশিয়ান কাজ করেছেন। কারো কিছু হয়নি। এমনকি শাকিব খানের কিছু হলো না, আমি তাঁর সাথে কাজ করায় আমার সদস্য পদ বাতিল করে দিল।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদস্যদের নিয়ে কটূক্তি করায় গত বছর শাকিব খানের ব্যাপারে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এফডিসি ভিত্তিক সংগঠনগুলোর জোট চলচ্চিত্র পরিবার। তখন তাঁর সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিষেধ করে চলচ্চিত্র পরিবার। কিন্তু তারপরও যাঁরা শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সেটার প্রেক্ষাপটেই শিল্পী সমিতি থেকে অনেকের নাম বাদ পড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘আসলে আমরা শুধু কমলের বেলায় এমন করেছি তা ঠিক নয়। একই অন্যায় করায় আমরা শিল্পী সমিতির আরেক সদস্য জাকির হোসেনের সদস্য পদও বাতিল করা হয়েছিল, কিন্তু জাকির আমাদের সমিতিতে ক্ষমা প্রার্থনা করায় তাঁকে ক্ষমা করা হয়েছে। আর কলমকে বারবার চিঠি দিয়েও আমরা কোনো উত্তর পাইনি। কেন তাঁর সদস্য পদ বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়ে যে চিঠি দিয়েছিলাম তার কোনো উত্তর তিনি দেননি। এমনকি যে অফিস সহকারী চিঠি নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর সাথে খারাপ আচরণ করেছেন।’
জায়েদ খান আরো বলেন, ‘আসলে এক সময় শাকিব খান পরিচালকদের নিয়ে খারাপ মন্তব্য করার পর চলচ্চিত্র পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শাকিব খান ক্ষমা প্রাথনা করার আগ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে কোনো শিল্পী ও টেকনিশিয়ানরা কাজ করবেন না। আমাদের ১৮টি সংগঠন নিয়ে চলচ্চিত্র পরিবার। সেই ১৮টি সংগঠনের কার্যকরী সদস্যরা সেই সিদ্ধান্তে সই করি। কমল আমাদের শিল্পী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে সেই কাগজে সই করেন। যেহেতু তিনি সিদ্ধান্তের কাগজে সই করেছেন এবং তিনি তা না মেনে আবার কাজও করেছেন তাই উনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তা না করায় একটা নির্দিষ্ট সময় পর আমরা তাঁর সদস্য পদ খারিজ করেছি।’
তাহলে ওমর সানি, মৌসুমী, কাজী হায়াতের বেলায় একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি কেন, জানতে চাইলে জায়েদ বলেন, ‘আসলে তাঁরা আমাদের সমিতির সদস্য, কিন্তু কার্যনির্বাহী কমিটির কেউ নন। যে কারণে তাঁদের বিষয়ে আমরা নমনীয় হয়েছি। কিন্তু পরিচালনা কমিটিতে থেকে কমল যা করেছে তা অন্যায়। যে কারণে সমিতির সংবিধান অনুযায়ী আমরা তাঁর সদস্য পদ বাতিল করেছি।’