প্রেমিকের সঙ্গে ঈদ করছেন জিজি হাদিদ

জনপ্রিয় মার্কিন মডেল জিজি হাদিদ এবার ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন প্রেমিকের সঙ্গে। প্রেমিক পপ তারকা জায়িন মালিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম গভীরতর হচ্ছে। ২০১৫ থেকে তাদের প্রেম চলছে। যদিও চলতি বছরের মার্চে সেই প্রেমে ভাটা পড়েছিল। বিচ্ছেদ হয়েছিল কিছুদিনের জন্য। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই জোড়া লাগে ফের। ইসলাম ধর্মীয় রীতি অন্যতম পবিত্র দিনটি তাঁরা আনন্দেই কাটাচ্ছেন।
মার্কিন এ ফ্যাশন মডেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি মিষ্টি ছবি শেয়ার করেছেন। শুধু জায়িনই নয়, এবার ঈদে তাঁর ছোট বোন ওয়ালিয়া আজাদও আছেন জিজির সঙ্গে। ওয়ালিয়াও ছবি পোস্ট করলেও জায়িন কোনো ছবি পোস্ট করেননি।
জিজি ও তাঁর মডেল বোন বেলা হাদিদের বাবা এবং মা ইয়োলান্দা হাদিদের প্রাক্তন স্বামী মোহামেদ হাদিদ ফিলিস্তিনি-আমেরিকান আবাসন ব্যবসায়ী। ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে জিজি ও তাঁর বোনকে খুব একটা মুখ খুলতে দেখা যায় না। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
গত বছর পোর্টার ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেলা হাদিদ বলেছিলেন, তাঁর বাবা ধার্মিক ছিলেন এবং তাদের সঙ্গে নামাজ আদায় করতেন। ‘মুসলিম হিসেবে আমি গর্বিত’, বলেন বেলা।
জিজির প্রেমিক জায়িন লন্ডন ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ইসলামি বিশ্বাস নিয়ে বেড়ে উঠলেও এখন আমি ধর্মচর্চা করি না। এটা সবসময় আমার ভেতর থাকবে এবং আমি ওই সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেকে অনেকটাই যুক্ত করতে পারি। কিন্তু আমি আমিই। আমি ধর্ম বা সাংস্কৃতিক পটভূমি দিয়ে নিজেকে সংজ্ঞায়িত করতে চাই না।’
গত সপ্তাহে মার্কিন মডেল জিজি হাদিদ ইউনিসেফের নিমন্ত্রণে বাংলাদেশে আসেন। তিনি কক্সবাজারের জামতলি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিশুদের সঙ্গে বেশ কিছু সময় কাটান। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইউনিসেফের পয়ো:নিষ্কাশনের উন্নত ব্যবস্থা, সুপেয় পানি আর শিক্ষা নিয়ে কাজ করছেন। ওই সময় রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে ছবি তুলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দেন জিজি।
ইউনিসেফের সঙ্গে রোহিঙ্গা শিশুদের কল্যাণে বেশ কিছু কাজে অংশ নিয়েছেন জিজি হাদিদ। সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা, জীবাণুমুক্ত পানি পান করা, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন, প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া ও শিশুদের শিক্ষা প্রদানসহ আরও কিছু কর্মসূচিতে যুক্ত আছেন তিনি।
জিজি হাদিদ মডেলিংয়ে আসেন মাত্র দুই বছর বয়সে। তারপর মার্কিন পোশাক প্রতিষ্ঠান ‘গেস’-এর শিশু শাখায় কাজ শুরু করেন তিনি। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক মডেল সংস্থা ‘আইএমজি’র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। মডেলস ডটকমের সেরা ৫০ জনের তালিকায় তাঁর নাম ওঠে ২০১৪ সালের নভেম্বরে। ২০১৬ সালে ব্রিটিশ ফ্যাশন কাউন্সিলের বর্ষসেরা আন্তর্জাতিক মডেল হিসেবে ২৩ বছর বয়সী এ তারকার নাম ঘোষণা করা হয়।