বলিউডকে বিরক্তিকর বললেন টুইঙ্কেল
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/09/21/photo-1537519644.jpg)
টুইঙ্কেল খান্না অভিনয় ছেড়েছেন বহু আগেই। ৩৮ বছর বয়সে হাতে কলম তুলে নেন। এখন পুরোদস্তুর লেখক। নিজেকে নারীবাদী হিসেবে পরিচয় দেন। ২০০০ সালে তাঁর অভিনীত ‘মেলা’ ছবিতেই এর সূচনা ছিল। যৌনতা, লিঙ্গসমতা নিয়ে কথা বলেন টুইঙ্কেল। ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’র সমর্থনে কথা বলেছেন, নারীবাদের সমর্থনে জনসমক্ষে বিতর্কেও অংশ নিয়েছেন। অতীত নিয়ে কথা বলতেই তিনি বললেন, ‘পেছনে তাকাতে চাই না।’
অভিনয় ছাড়ার অনেক পরে ২০১৫ সালে টুইঙ্কেল খান্নার বই ‘মিসেস ফানিবোনস’ প্রকাশিত হয়েছিল। সে সময় বলেছিলেন, বলিউডে তিনি ‘মিসফিট’ ছিলেন। হতে চেয়েছিলেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যাট, ঢুকে পড়েছিলেন বলিউডে।
টুইঙ্কেল বলেন, তিনি সব সময় মিসফিট ছিলেন। ছবির সেটে কাপড় বোনা বা বই পড়তেন। তাঁর দাদিমা তাঁকে বুনন শিখিয়েছিলেন। তাঁদের ঘর ছিল হিপিদের মতো। কেউ সব সময় পড়ছেন, কেউ বুনছেন অথবা কেউ গিটার বাজাচ্ছেন। বলিউডে ‘ফিট’ হতে তাঁর কোনো আগ্রহই ছিল না।
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ওয়াইএফএলও আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এসব বলেন টুইঙ্কেল খান্না, যিনি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমারের স্ত্রী।
অভিনেত্রী থেকে তিনি এখন লেখক ও কলামিস্ট বনে গেছেন। কিছুদিন আগে তাঁর নতুন বই ‘পায়জামাস আর ফরগিভিং’ প্রকাশিত হয়। টুইঙ্কেল বলেন, পায়জামা রূপক অর্থে ব্যবহৃত। এটাকে ‘মি টু বই’ও বলা যেতে পারে। খবর ডেকান ক্রনিকেল-এর।
তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, কেন তিনি বলিউড নিয়ে লিখছেন না বা নিজের ঘর নিয়ে, যা তিনি সবচেয়ে ভালো জানেন। টুইঙ্কেলের উত্তর, ‘বলিউড আমার কাছে বিরক্তিকর। আমার কলাম বা ছোটগল্পেও এ নিয়ে লিখিনি। এতে আমার আগ্রহ নেই। আমি এটা দেখেছি এবং কেন এ নিয়ে লিখব? এটা খুবই পরিচিত।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে অসহ্য সব পোশাক পরতে হয়েছে, ভয়াবহ কথা বলতে হয়েছে, নাচতে হয়েছে... কিন্তু আমি শিখেছি কীভাবে হাসতে হয় এবং আমি মনে করি, এ কারণেই আমি এখানে আসতে পেরেছি। এখন আমি আশা করি, মানুষ মেলা ছবির কথা ভুলে যাবে এবং আমার বইয়ের মাধ্যমে আমাকে স্মরণ করবে।’
টুইঙ্কেল খান্নাকে ‘টমবয়’ ডাকা হতো। তিনি বলেন, ‘আমার গোঁফ ছিল, সিনেমা ছাড়া লিপস্টিক পরতাম না। অনেক মানুষ আমাকে বলেছে, পুরুষের মতো কথা বলি আমি, পুরুষের মতো চিন্তা করি এবং আমি সত্যিই ভাবতাম, আমার শরীরের ভেতরে কোথাও পুরুষ আটকে আছে।’
পরে তাঁর চিন্তার পরিবর্তন আসে।
নারীবাদ নিয়ে টুইঙ্কেল বলেন, ‘মেয়েদের কথা বলা দরকার এবং আরো স্বাধীন হওয়া দরকার। কিন্তু চেক লেখার মতো হাত থাকতে হবে। আর এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাই নারীকে প্রথমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হতে হবে।’