ভিডিও ভাইরাল
সালমান কি ঐশ্বরিয়াকে মেরেছিলেন?
বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত মুখ খোলার পর অনেকেই তাঁদের ‘গোপন বাক্স’ খুলতে শুরু করেছেন। তাঁরা বলিউডের ক্ষমতাবান পুরুষদেরও নাম প্রকাশ করছেন, যাঁরা তাঁদের যৌন হেনস্তা করেছিলেন।
গত মাসে সাবেক মিস ইন্ডিয়া তনুশ্রী দত্ত অভিযোগ করেন, ১০ বছর আগে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির একটি আইটেম গানের শুটিং চলাকালে পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকার তাঁকে যৌন হয়রানি করেছিলেন। ওই ঘটনার পর তিনি ভেঙে পড়েন। ছবির দুনিয়া ছেড়ে চলে যান।
হলিউডে যখন হ্যাশট্যাগ দিয়ে মি টু আন্দোলন চলছিল, তখন কার্যত নীরব ছিল বি-টাউন। তনুশ্রীর অভিযোগের পর নড়েচড়ে বসে বলিউড। এখন বলিউডে চলছে মি টু ঝড়। তনুশ্রীর অভিযোগের পর অনেকেই তাঁদের জীবনে ঘটে যাওয়া যৌন হেনস্তার ব্যাপারে মুখ খুলছেন।
যৌন হেনস্তা নিয়ে যখন বলিউড সরগরম, তখনই সালমান খানের একটি পুরোনো ভিডিও ফের ভাইরাল হলো অন্তর্জালে।
সালমান খানের সঙ্গে সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাইয়ের একসময়ের প্রেমকাহিনী কে না জানে। পরে সে সম্পর্কে ভাঙন ধরে। অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করে হন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। তাঁদের আরাধ্য নামের একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানও আছে। এখন তাঁদের সুন্দর সংসার।
যাহোক, একসময় সালমানের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছিলেন ঐশ্বরিয়া। সত্যিই কি ঐশ্বরিয়ার গায়ে হাত তুলেছিলেন বলিউড ভাইজান? এমন প্রশ্ন অনেকের মনে এখনো ঘুরঘুর করে!
সে সময় এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নই করা হয়েছিল সালমানকে। তার উত্তরে সালমান যা বলেছিলেন, সেই ভিডিওই এত দিন পর ফের ভাইরাল হলো।
যাহোক, তাঁদের সম্পর্ক তখনই ভাঙনমুখে পৌঁছায়, যখন ঐশ্বরিয়া প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, সালমান তাঁকে হেনস্তা করেছেন, এমনকি শারীরিক নির্যাতনও করেছেন।
ঐশ্বরিয়া বলেছিলেন, সালমান মদ্যপ। তাঁকে কল দিয়ে বাজে কথা বলতেন। বলিউডের অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন। মানসিক ও শারীরিকভাবে তাঁকে হেনস্তা করেছিলেন বলেও অভিযোগ ছিল ঐশ্বরিয়ার।
ওই সময় এক সাংবাদিক সালমান খানকে ঐশ্বরিয়ার অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে, তিনি যে উত্তর দেন তা শুনলে রীতিমতো চমকে যেতে হয়!
উত্তরে সালমান বলেছিলেন, ‘ওই মহিলা (ঐশ্বরিয়া) তো বলছেন আমি মেরেছিলাম। এক সাংবাদিক অনেক বছর আগে এই প্রশ্নই করেছিলেন। সেটা শুনে আমি টেবিল ভেঙে ফেলেছিলাম... আমি যদি কাউকে আঘাত করি, সেটা তো মারপিট হবে। আমি রেগে যাব। জোরে মারব। সেটা হলে ওই মহিলা বেঁচে থাকতেন বলে মনে হয় না।’
ওই পুরোনো ভিডিওটিই ফের ভাইরাল হয়েছে। সালমান কী বলেছিলেন, তা নিজের কানেই শুনুন!