এক সিনেমায় ১৪ কোটি কঙ্গনার
বলিউডে পারিশ্রমিক বৈষম্য নিয়ে বাদানুবাদ বহু দিন ধরেই চলছে। এটা সর্বজনবিদিত যে, প্রধান নারী অভিনেত্রীরা তাঁদের অভিনেতার চেয়ে কম পারিশ্রমিক পান। তবে পারিশ্রমিক বৈষম্য নিয়ে সবচেয়ে সরব কঙ্গনা রানাউত। আনুশকা শর্মা, সোনাক্ষি সিনহাও এ নিয়ে বহুবার কথা বলেছেন। জানিয়েছেন তাঁদের অসন্তুষ্টির কথা।
যা হোক, মনে হচ্ছে এ অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। গত বছর পারিশ্রমিক নিয়ে দীপিকা পাডুকোন খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন। বলা হয়েছিল, ‘পদ্মাবত’ ছবিতে তাঁর সহ-অভিনেতা শহিদ কাপুর ও রণবীর সিংয়ের চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন দীপিকা।
দীপিকা ইন্ডিয়া টুডে টেলিভিশনকে বলেছিলেন, তিনি তাঁর প্রাপ্য সম্পর্কে সচেতন আর সে অনুযায়ীই পারিশ্রমিক চান।
চলতি বছর খবর বেরিয়েছে, ‘মনিকর্ণিকা : দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ ছবির জন্য কঙ্গনা রানাউত ১৪ কোটি রুপি চেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পীর তালিকায় উঠলেন কঙ্গনা। সাধারণত তিনি যা পান, এটা তার দ্বিগুণের বেশি। বলা হয়, একটি ছবিতে কঙ্গনা পাঁচ-ছয় কোটি রুপি নেন।
মনিকর্ণিকার শুটিং সেটে কঙ্গনা। ছবি : ইনস্টাগ্রাম
‘মনিকর্ণিকা’ ছবিতে লক্ষ্মীবাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। এ ছবির শুটিং নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। এ ছবিটি পরিচালনাও করেছেন তিনি। কঙ্গনার কর্তৃত্বপরায়ণতার অভিযোগ তুলে এ ছবি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করেন সোনু সোদ। তবে এ অভিযোগ নাকচ করেন কঙ্গনা। বলেন, ছবিটির কিছু অংশ পরিচালনা করেছেন তিনি আর সোনু সোদ ‘নারীর অধীনে’ কাজ করতে চান না বলেও অভিযোগ তাঁর। জবাবে সোনু বলেন, ইচ্ছে করেই সবকিছুতে ‘নারী ইস্যু’ তোলেন কঙ্গনা।
যা হোক, আগামী বছরের ২৫ জানুয়ারি ‘মনিকর্ণিকা’ ছবিটি মুক্তি পাবে।
এ ছবির অভিজ্ঞতা নিয়ে কঙ্গনা বলেন, ‘প্রতিটি ছবিরই নিজস্ব যাত্রা আছে। হ্যাঁ, এটা সত্য যে শুটিংয়ের শুরুতে বেশ ঝক্কি গেছে। কিন্তু আমরা সবাই মিলে কাজ করেছি এবং শিডিউলের আগেই শুটিং শেষ করেছি।’
পরিচালক কৃষ একটি বায়োপিক নির্মাণে ব্যস্ত হয়ে পড়লে কঙ্গনা ‘মনিকর্ণিকা’র শুটিং পরিচালনা করেন।
কঙ্গনা আরো বলেন, ‘যদিও দুর্ঘটনাবশত পরিচালক বনে গিয়েছিলাম, কিন্তু যখন এটা হলো, আমি নিজেকে পুরোপুরি ঢেলে দিয়েছিলাম। যা হোক, এটা অসাধারণ একটি প্রক্রিয়া এবং পরিচালনা একদম অন্য রকম অভিজ্ঞতা।’ সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে।