শঙ্কামুক্ত নন আমজাদ হোসেন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/11/19/photo-1542611812.jpg)
কোনো উন্নতি হয়নি দেশবরেণ্য অভিনেতা ও নির্মাতা আমজাদ হোসেনের। গতকাল থেকেই তিনি তেজগাঁও ইমপালস্ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। আজ রাত ১২টার আগে চিকিৎসক এ বিষয়ে কোনো কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন।
বদিউল আলম খোকন বলেন, ‘গতকাল রোববার সকাল ১০টায় আমজাদ ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার উনাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। আজ সকালে আমরা ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। ভর্তি হওয়ার ৩৭ ঘণ্টার আগে কিছুই বলা যাবে না। সে হিসেবে আজ রাত ১২টায় ডাক্তার এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন।’
সবার কাছে দোয়া চেয়ে খোকন বলেন, ‘আমজাদ হোসেন শুধু একজন শিল্পী নন, তিনি একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। সবাই দোয়া করবেন, তিনি যেন আবারও সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।’
কী হয়েছিল—জানতে চাইলে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল সকাল ৯টার দিকে আমজাদ হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার তাঁকে (আমজাদ হোসেন) বিছানার নিচে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। কখন তিনি অচেতন হয়েছেন, তা আঁচ করতে পারেননি তিনি। এরপর সকাল ১০টার দিকে তাঁকে ইমপালস্ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । এখন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
আমজাদ হোসেন অভিনেতা, পরিচালক হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্র শুরু করেন তিনি। পরে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় শুরু করেন।
প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ছবিটি পরিচালনা করেন ১৯৬৭ সালে। পরিচালক হিসেবে ‘নয়নমনি’ (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে (১৯৮৪) তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।
‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেন। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।
এ ছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।