তারকার প্রথম
টিউশনি করে প্রথম পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন অর্ষা
নাজিয়া হক অর্ষা। তরুণ প্রজন্মের আলোচিত অভিনেত্রী। বর্তমানে বেশ কিছু নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আলাপকালে এনটিভি অনলাইন জানতে চেয়েছিল জীবনের প্রথম কিছু ঘটনার কথা।
প্রথম স্কুল : ঢাকার মোর্নিং বেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
প্রথম শিক্ষক : সাঈদ স্যার। তিনি আমার হোম টিউটর ছিলেন। আমি মোটামুটি ধরনের স্টুডেন্ট ছিলাম। ক্লাস টেনের পর আমার পড়াশোনা লেভেল ভালো হয়। আগের থেকে আমি ভালো রেজাল্ট করেছিলাম।
প্রথম অভিনীত নাটক : ২০১০ সালে প্রথম নাটকের শুটিং করেছিলাম। এর নাম ছিল ‘দ্বন্দ্ব’। আমার সহশিল্পী ছিলেন শাহেদ শরীফ খান ও ডলি জহুর। পরিচালনা করেছেন রাফী ভাইয়া। তাঁর সঙ্গে এরপর আমার আর কোনো কাজ করা হয়নি। নাটকটি চ্যানেল আইতে প্রচার হয়েছিল।
প্রথম অভিনয়ের অভিজ্ঞতা : প্রথমত, ক্যামেরার ভাষা বুঝতে আমার খুব কষ্ট হয়েছিল। টেকনিক্যাল বিষয়ে একেবারে অদক্ষ ছিলাম। এ বিষয়ে ডলি মা (ডলি জহুর) আমাকে সাহায্য করেছিলেন। আমি মনে মনে ভাবছিলাম, কবে আমি তাঁদের মতো অভিনয় করতে পারব। যা হোক, টেকনিক্যাল বিষয়গুলো আয়ত্ত করতে আমার তুলনামূলক সময় একটু বেশি লেগেছিল।
মডেল ও অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা। ছবি : সাইফুল সুমন
প্রথম বিজ্ঞাপন : সমাজ-সচেতনতামূলক একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলাম। বিজ্ঞাপনের ট্যাগ লাইন এরকম ছিল ‘নেশাকে না বলা’।
প্রথম পারিশ্রমিক : টিউশনি করে প্রথম পারিশ্রমিক পেয়েছিলাম দুই হাজার টাকা। আমি তখন ক্লাস সেভেন কিংবা এইটে পড়েছিলাম। আমার তিনটা স্টুডেন্ট ছিল। প্রথম উপার্জন পেয়ে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত ছিলাম। সেই টাকা থেকে বাবার জন্য উপহার কিনেছিলাম। বাকি টাকা যা ছিল, মাকে দিয়েছিলাম।
প্রথম পড়া বই : রকিব হাসানের তিন গোয়েন্দা সিরিজের বই। আমি তখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি। আমার ভাইয়ের বই চুরি করে পড়েছিলাম। আমার মনে আছে, তখন আমি পুরো বাক্য বানান করে ছাড়া পড়তে পেতাম না।
প্রথম শাড়ি পরা : স্কুলের একটা বার্ষিক অনুষ্ঠানে সব বান্ধবী মিলে প্রথম শাড়ি পরেছি। তখন আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েছিলাম।
প্রথম প্রেম : স্কুলজীবনে। এইটে প্রথম ক্রাশ খেয়েছিলাম। কোচিং সেন্টারে ছেলেটার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। সে আমার এক বছরের সিনিয়র ছিল। আমাকে পাত্তা দিত না। তাই প্রেমটাও শেষ পর্যন্ত হয়নি।