ভক্তদের অপেক্ষায় মৌসুমী
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র শুরু করেন নায়িকা মৌসুমী। শুরু থেকেই দর্শক হৃদয় জয় করেছেন। তাঁকে এক নজর দেখার জন্য এক সময় এফডিসির সামনে ভিড় করেছেন অসংখ্য দর্শক। একটি বার কথা বলতে পারাটা ছিল স্বপ্নের বিষয়। তাঁর ভক্তদের জন্য সুখবর হচ্ছে তিনি নিজেই এবার অপেক্ষা করবেন ভক্তদের জন্য।
আগামীকাল ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় যেকোনো বাংলালিংক নম্বর থেকে ২২২৮৮ নম্বরে কল করলেই এ অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলা যাবে। তিনি অপেক্ষা করবেন তাঁর ভক্তদের সাথে কথা বলার জন্য। যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেবেন তিনি।
এ বিষয়ে মৌসুমী বলেন, ‘ভক্তদের ভালোবাসা সারা জীবন আমার জন্য প্রেরণা হয়ে কাজে লেগেছে। সব সময় চেষ্টা করেছি সবার জন্য নতুন কিছু করতে। ইচ্ছে করে ভক্তদের সাথে কথা বলি। তবে কাজের ব্যস্ততার জন্য এটা সব সময় সম্ভব হয় না।’
মৌসুমী আরো বলেন, ‘দর্শকদের সঙ্গে গল্প করার জন্য বাংলালিংক ও লাইভ এন্টারটেইনমেন্ট আমাকে দারুণ একটা সুযোগ করে দিয়েছে। আমি তাদের ধন্যবাদ দিতে চাইা। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় আমি থাকছি বাংলালিংক স্টার জোন সার্ভিসে, থাকব শুধু দর্শকের সঙ্গে আড্ডা দিতে।’
মৌসুমী ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছায়াছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে পদার্পণ করেন। এই চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে ছিল অকাল প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহ। দুজনেরই এটি ছিল প্রথম চলচ্চিত্র।
এ বছর আরো অভিনয় করেন মৌসুমী ও ওমর সানির বিপরীতে ‘দোলা’ ছায়াছবিতে। প্রথম বছরই তার অভিনয় দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে।
মৌসুমী ১৯৯৬ সালে ‘গরীবের রানী’ ছায়াছবি দিয়ে প্রযোজকের খাতায় নাম লেখান। চলচ্চিত্র প্রযোজনার লক্ষ্যে তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কপোতাক্ষ চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছর এই প্রতিষ্ঠান থেকে মুশফিকুর রহমান গুলজারের পরিচালনায় ‘সুখের ঘরে দুখের আগুন’ ও মনতাজুর রহমান আকবরের পরিচালনায় ‘বউয়ের সম্মান’ ছায়াছবি প্রযোজনা করেন।
২০০৩ সালে ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ দিয়ে মৌসুমী চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। পরে ২০০৫ সালে পরিচালনা করেন ‘মেহের নিগার’’ ২০১৬ সালে ‘শূন্য হৃদয় ‘নামে একটি টেলিফিল্ম পরিচালনা করেছেন।
মৌসুমী ২০০৪ সালে জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘মাতৃত্ব ‘ছায়াছবিতে একটি গানে কণ্ঠ দেন। ২০০৭ সালে ইথুন বাবুর সুরে ২০১৪ সালে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘তারকাঁটা ‘ছায়াছবিতে ‘কি যে শূন্য লাগে তুমিহীনা’ গানে কণ্ঠ দেন। এছাড়া মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ছায়াছবি’ চলচ্চিত্রে ‘মন যা বলে বলুক’ গানের কথাও লিখেছেন তিনি।