টিস্যু পেপারে ফোন নাম্বার লিখে দেওয়ার পর
ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গেই ঘরসংসার করছেন বলিউড অভিনেত্রী এশা দেওল। ২০১২ সালে ভারত তাখতানির সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন দেওলকন্যা, এখন তাঁরা দ্বিতীয় সন্তানের আশা করছেন। ভালোবাসা দিবসে প্রেমের গল্প শেয়ার করলেন এই তারকা। বললেন, কেমন ছিল তাঁদের রোমান্স শুরুর দিনগুলো।
একটি শীর্ষ দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘ধুম’ অভিনেত্রী বলেছেন, ভারতের সঙ্গে তাঁর প্রেমের শুরু সেই কৈশোরোত্তীর্ণ দিনগুলোতে।
টিস্যু পেপারে নিজের ফোন নাম্বার লিখে ভারতকে দিয়েছিলেন এশা। তারপর ধীরে ধীরে আলাপ। তা থেকে প্রেম। তারপর সংসার।
এশা বলেন, ‘আমি তখন জমনাবাই নার্সিং স্কুলে আর ভারত পড়ছে বান্দ্রার লার্নারস একাডেমিতে। বান্দ্রায় এই এক স্কুল, যেখানে সবচেয়ে সুদর্শন ছেলেরা পড়ত। একটি আন্তস্কুল প্রতিযোগিতায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়, যার আয়োজক ছিল আমার স্কুল। এক টুকরো টিস্যু পেপারে আমার ফোন নাম্বার লিখে তাঁকে দিই।’
‘সব সময় বলি, সে সত্যিই আমাকে ভালোবাসে। তাঁর চোখে আমি কিউট,’ যোগ করেন এশা।
‘ধুম’ অভিনেত্রী আরো বলেন, কলেজের দিনগুলোতে ভারতের সংস্পর্শে ছিলেন তিনি। কিন্তু বলিউডে অভিষেকের পর কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েন এশা। সাক্ষাৎ হয়নি বহুদিন।
‘আমাদের একটি ফোন ছিল আর তা মায়ের ঘরে। কোনো এক্সটেনশন ছিল না। কথা বলা খুব কঠিন ছিল। ওই বয়সে সেটা ছিল মায়া ও সারল্য, যা খুব সুন্দর। অবশ্যই কলেজে আমরা সংস্পর্শে ছিলাম। এবং ১৮ বছর বয়সে আমার কর্মজীবন শুরু হলো। এ আমার ব্যর্থতা, কিন্তু পরে আমরা ফের একত্র হই এবং এখন সে আমার জীবনসঙ্গী,’ বলেন এশা।
মা হেমা মালিনী পরিচালিত ‘টেল মি ও খুদা’ ছবির শুটিং চলছিল, সেখানেই বহুদিন পর পুনর্মিলন হয় এশা ও ভারতের। আর তার পরের গল্পটি ইতিহাস। এশা ও ভারতের রাধ্যা নামের কন্যাসন্তান আছে। এখন অন্তঃসত্ত্বা এশা, দ্বিতীয় সন্তানের মুখ দেখার অপেক্ষায় এ যুগল।
এশা দেওলকে আগামীতে ‘কেকওয়াক’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিতে দেখা যাবে। এর মধ্য দিয়ে সাংবাদিক রামকমল মুখার্জির নির্মাতা হিসেবে অভিষেক হচ্ছে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি এই ছবিটি সরাসরি টেলিভিশনে মুক্তি পাবে। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে