শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবেন জাফর ইকবাল

মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ উপলক্ষে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। অনুষ্ঠানের নাম ‘প্রজন্মে স্বাধীনতা’।
এখানে মুহম্মদ জাফর ইকবালের সাথে নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভাবনা নিয়ে আলাপচারিতা এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব দেখানো হবে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের আটজন শিক্ষার্থী এখানে অংশগ্রহণ করেছেন। উপস্থাপনা করেছেন মীম নোশিন নওয়াল খান।
অনুষ্ঠানে মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন,‘দেশকে ভালোবাসার যে অনুভূতি এর থেকে সুন্দর অনুভূতি কিন্তু পৃথিবীতে নেই। তুমি তোমার ভাইকে ভালোবাস, মাকে ভালোবাস- এর পেছনে একটা স্বার্থ থাকে। কিন্তু দেশ তো ধরা যায় না। ছোঁয়া যায় না। কাজেই কেউ যদি দেশকে ভালোবাসে সেই অনুভূতির তুলনা নেই। কাজেই যারা দেশকে ভালোবাসার অনুভূতি পায় না তাদের জন্য আমার খুব মায়া হয়। সেজন্য আমি চাই দেশকে ভালোবাসার অনুভূতি নতুন প্রজন্মের মধ্যে যেন হয়। সেটা হওয়া সম্ভব যদি তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসটা জানে।’
অনুষ্ঠানটির প্রযোজক সিফাত তন্ময় বলেন, ‘এখানে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে আলোচনা এবং স্মৃতিচারণা করেন এবং নতুন প্রজন্মের প্রতি নানান দিক-নিদের্শনা প্রদান করেন। অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীরা স্যারকে দেশ, মুক্তিযুদ্ধ এবং তাঁর ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় জানার জন্য প্রশ্ন করেন, স্যারও উত্তর দেন। আশা করছি, অনুষ্ঠানটি তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের ভালো লাগবে।’
উপস্থাপক মীম নোশিন নওয়াল খান বলেন, ‘কখনো কখনো হুটহাট ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো খুব সুন্দর হয়। সঞ্চালকের সিটে আসলে আমার থাকার কথা ছিল না। আমার আমন্ত্রণ ছিল বাকিদের মতো অতিথি হিসেবে। সামনে পরীক্ষা, তাই প্রযোজক তন্ময় ভাইয়া বারবার বলার পরও বলেছিলাম এই অনুষ্ঠানটায় থাকতে পারব না। তন্ময় ভাইয়া মাকে রাজি করিয়ে ফেললেন। কোনো প্রস্তুতি ছাড়া, বিনা স্ক্রিপ্টে ইউনিফর্ম পরা অবস্থাতেই সঞ্চালকের ভূমিকায় নেমে পড়তে হলো। আর আমারও হয়ে গেল জীবনের সবচেয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতা।’
অনুষ্ঠানটি আগামীকাল ২৬ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত হবে।