আই লাভ অ্যাকশন : সজল
‘আমি সবসময় কর্মফলে বিশ্বাসী। ‘রান আউট’ ছবির কাজ করার সময় শতভাগ চেষ্টা ছিল ভালো করার। গতকাল ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর দর্শকদের যতটা উচ্ছ্বাস দেখেছি ততটা আসলে আমার প্রত্যাশা ছিল না। এটা আল্লাহর রহমত।’ ‘রান আউট’ ছবি মুক্তির পর কেমন সাড়া পেয়েছেন প্রশ্ন করতেই এভাবে অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেন অভিনেতা আব্দুন নূর সজল।
‘রান আউট’ ছবিতে কিশোর নামের এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল। এই চরিত্রে রয়েছে অনেক মোড়। কিশোরের যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি রয়েছে নেতিবাচক কিছু দিক। একপযার্য়ে কিশোর অন্ধকার জগতে প্রবেশ করে এবং অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। কিন্তু কিশোর নায়ক থেকে খলনায়ক হয় বিষয়টি তেমনও নয়। হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার পেছনে ভালো কিছু কারণ থাকে। তাই ছবিতে কিশোর শেষ পর্যন্ত ভিলেন নয়। তবে ‘রান আউট’ ছবিটি নায়ক-নায়িকা নির্ভর না, এটি গল্প নির্ভর। গল্পেই ছবির মূল পটভূমি। এমনটিই জানালেন কিশোর চরিত্রের নায়ক সজল।
সজলের প্রথম বাণিজ্যিক ছবি পুরোপুরি রোমান্টিক হবে। এমনটিই হয়তো আশা করেছিলেন সজল ভক্তরা। কিন্তু প্রথম ছবিতে কেন এত অ্যাকশন? উত্তরে সজল হেসে বলেন, ‘আই লাভ অ্যাকশন।’ তিনি আরো যোগ করে বলেন, ‘এই ছবিতে অভিনয় করার প্রথম কারণ গল্পের পটভূমি এক কথায় চমৎকার। দ্বিতীয় কারণ, যেহেতু আমি ছোটপর্দায় পরিচিত তাই চেয়েছি বড় পর্দার দর্শক যেন আমাকে একটু ভিন্ন গেট-আপে দেখতে পারেন। তাঁদের কাছে যেন আমাকে একঘেয়ে না মনে হয়। তৃতীয় কারণ, আমি নিজে যখন হলে ছবি দেখি, তখন অ্যাকশন ছবিই দেখি।’
ছবিতে অ্যাকশন দৃশ্য রয়েছে অনেক। কীভাবে নিখুঁতভাবে দৃশ্যগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জানতে চাইলে সজল বলেন, ‘আমি টানা দুই মাস ছবির ফাইট ডিরেক্টরের কাছে অ্যাকশন দৃশ্যের সব কৌশল রপ্ত করেছি। অ্যাকশন দৃশ্য চলচ্চিত্রের জন্য কিন্তু সহজ নয়। আমি মনে করি, চলচ্চিত্রের অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য প্রশিক্ষণ খুব জরুরি।’
ঢালিউডের পথে সজল প্রথম হাঁটতে শুরু করেছেন। কিশোরকে দর্শক কীভাবে নেবে? এই নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন সজল, বরং কাজের প্রতি ভালোবাসা থেকে আবারও ভালো কোনো গল্পে ও চরিত্রে কাজ করার ইচ্ছে পোষণ করেন তিনি। ঢালিউডের প্রতি তাঁর আবেগ-ভালোবাসা নেহাত কম নয়, কারণ নিয়মিত সজল কিং খান শাকিব ও হালের আলোচিত নায়ক অনন্ত জলিলের ছবি হলে গিয়ে দেখেন। এখন দেখা যাক, সজলের ঢালিউড যাত্রা কতখানি সফল হয়?
ভিডিও কার্টেসী: প্রত্যয়
Posted by RUN OUT on Friday, October 16, 2015