কেমন আছেন আলাউদ্দীন আলী
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/05/11/photo-1557571801.jpg)
‘আলী ভাই বেঁচে আছেন। খুব একটা কথা বলতে পারছেন না। শরির খুব ভালো সেটাও বলা যাবে না। ভাইকে এমন অবস্থায় দেখার ইচ্ছে ছিল না। তার পরও দেখতে হলো।’ আজ সকালে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) থেকে ফিরে এনটিভি অনলাইনকে এসব কথা বলেন নায়ক ওমর সানি।
দোয়া চেয়ে সানি বলেন, ‘ডাক্তারের সাথে কথা হয়েছে। উনারা বলেছেন আগের চেয়ে এখন ভালো আছেন আলী ভাই। এক মাস আগে যখন ভর্তি হন, তখন অবস্থা আরো খারাপ ছিল। মানুষের জন্ম-মৃত্যু আল্লাহর হাতে। তিনি চাইলে মানুষের যেকোনো মুহূর্তে মৃত্যু হতে পারে। আবার অনেক খারাপ অবস্থা থেকে মানুষ সুস্থ হতে পারে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন আলী ভাই যেন ভালো হয়ে যান। আল্লাহ চাইলে আবারও আলী ভাই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
সানি আরো বলেন, ‘আমি গর্বিত যে আলী ভাই আমাকে দেখতে চেয়েছেন। গতকাল বকুল (কবির বকুল) ভাই আমাকে ফোন দিয়ে জানালেন এই কথা। কোনো চিন্তা না করে সকালবেলা সাভারের উদ্দেশে রওনা দেই। সেখানে ভাইয়ের সাথে ছিলাম দুপুর পর্যন্ত। তবে এই অবস্থায় আলী ভাইকে দেখতে চাই না।
গত ৮ এপ্রিল সাভারের সিআরপিতে ভর্তি করানো হয় আলাউদ্দীন আলীকে। এর আগে গত ২২ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ১১টায় আলাউদ্দীন আলীকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে দুই মাসের বেশি সময়ের চিকিৎসায় তিনি অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। এরপর তাকে সিআরপিতে স্থানান্তর করা হয়। আরো সুস্থ হলে তাকে ব্যাঙ্কক নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে তার পরিবার।
আলাউদ্দীন আলী বাংলা চলচ্চিত্রে অসংখ্য জনপ্রিয় গান সৃষ্টি করেছেন। তিনি একাধারে সংগীত পরিচালক, সুরকার, বেহালাবাদক ও গীতিকার। আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ‘সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম’, ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘আছেন আমার মুক্তার’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘সবাই বলে বয়স বাড়ে’, ‘আমায় গেঁথে দাওনা মাগো একটা পলাশ ফুলের মালা’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’- এমন আরো অনেক কালজয়ী গানের রূপকার আলাউদ্দীন আলী।